বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

সকল মানুষের জন্য ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দেশের বড় চ্যালেঞ্জ’

  প্রকাশ : ২০১৯-০৫-০৫ ১৫:১৫:২৪  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সকল মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে কৃষিখাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি উৎপাদনশীল ব্যবস্থা গড়ে তোলা শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এপিও) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

শিল্প সচিব বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দুর্যোগ প্রবণ দেশগুলোর অন্যতম। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এ দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি কঠিন কাজ। লবণাক্ততা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, উষ্ণতা বৃদ্ধি, বন্যাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে, গত দশকে জিডিপির ২ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা এবং কৃষিখাতে জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে চলতি দশকে এ ধরনের ক্ষতির পরিমাণ ১ শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগকে জাতীয় উন্নয়নের জন্য বড় হুমকি বিবেচনা করে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ নীতি প্রণয়ন করেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ২০০৫ সালে ন্যাশনাল এডাপটেশন প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন দাখিল করে। ২০০৯ সালে এটি আরও সমৃদ্ধ করে পরিবেশ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংক্রান্ত ইস্যুগুলোকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রতিকারের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকার প্রণীত সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের পরিচালক এসএম আশরাফুজ্জামান এবং এশিয়ান প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের কৃষিবিষয়ক প্রোগ্রাম অফিসার ড. শেখ তানভির হোসেন বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, পাঁচ দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বাংলাদেশসহ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১১টি দেশের ১৯ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং দেশি-বিদেশি ৬ জন কৃষি উৎপাদনশীলতা বিশেষজ্ঞ অংশ নিচ্ছেন। এতে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তি প্রসারের মাধ্যমে উৎপাদনের প্রতিটি স্তরে দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।



ফেইসবুকে আমরা