পরিস্হিতি২৪ডটকম : ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখনফল মূল্যায়নে অ্যাসাইনমেন্ট নিতে বলা হয়েছে। এই সময়ে কোন অর্থ বা ফি আদায় করা যাবে না বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। রবিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে মাউশি।
করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে প্রায় ৮ মাস। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট করানোর নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর।
সে অনুযায়ী, সপ্তাহে একদিন প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্টের কাজ সংগ্রহ ও জমা দেবে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এটিকেই সুযোগ হিসেবে নিয়ে অর্থ আয় করছেন কিছু শিক্ষক। আবার স্কুল যেতেও বাধ্য করা হচ্ছে কোথাও কোথাও।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসাইনমেন্ট চলাকালীন পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোনো অর্থ বা ফি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে না নেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে তিনটি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে। সপ্তাহে একদিন তা গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন করা যাবে না।
করোনার কারণে এবার বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়েই মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের উপরের শ্রেণিতে তোলা হবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণের জন্য ৩০ কর্মদিবসে শেষ করা যায় এমন একটি সিলেবাস প্রণয়ন করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সিলেবাসের আলোকে শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে তিনটি করে অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হচ্ছে, যার উত্তর শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক অনুসরণ করে লিখতে হবে।