পরিস্হিতি২৪ডটকম : যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাংলাভাষা থাকবে ততদিন বেচেঁ থাকবে ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা একাডেমির মহা পরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। তিনি বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনে তার অবদান সমগ্র জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। বাংলা একাডেমী তার রচিত বই ও জীবনী গ্রন্থ প্রকাশে সকল ব্যবস্থা দ্রুততম সময়ে গ্রহন করবে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিস্থ প্যারাগন টাওয়ারে ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু স্মরণে ভাষা আন্দোলন স্মৃতি রা পরিষদ ও হৃদয় ৮ ফাল্গুন আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সমাজকর্মী তাহমিনা খাতুনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন ভাষা মতিনের স্ত্রী বেগম গুলবদন্নেছা মনিকা মতিন, বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এম.এ হাশেম রাজু, ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর নাতনি ফরিদা মনি শহীদুল্লাহ, সংগঠনের সভাপতি ডা. এম এ মুক্তাদীর, ইতিহাসবেত্তা সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ-দীন, সাঈদ আহমদ আনীস, হাফিজুর রহমান কবির, এডভোকেট ফেরদৌস আরা, অধ্য সালমা আহমেদ হীরা, এডভোকেট লুৎফুল আহসান বাবু, হাসানুল বান্না, রাসেল আহমেদ, মতিয়ারা চৌধুরী মিনু গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, আলেয়া বেগম আলো। পরিবারের প থেকে সৈয়দ শাকিল আহাদ, সৈয়দ মুহম্মদ জাহিদুল আলম, সাঈদ আহমেদ সাঈদ, সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন রওশন আরা বাচ্চুর ছোট কন্যা তানভীর ফারহানা ওয়াহেদ তুনা। সঞ্চালনা করেন টিমুনী খান। ভাষা মতিনের স্ত্রী বেগম গুলবদন্নেছা মনিকা মতিন বলেন, মরনের পর নয়, জীবিত থাকতেই সকল ভাষা সৈনিকদের সম্মান জানানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল কিন্তু রাষ্ট্র রওশন আরা বাচ্চুকে একুশে পদক দিতে পারেনি। এটি রাষ্ট্র এবং আমাদের জন্য দুঃখজনক। উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ভাষা সৈনিক রওশন আরা বাচ্চু ইন্তেকাল করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি