পরিস্হিতি২৪ডটকম : দেশের আট বিভাগের মাইভাণ্ডারী শিল্পীদের জমজমাট সংগীত পরিবেশনা, মাইজভাণ্ডারী দর্শন ও সুফিবাদ-প্রেমবাদ নিয়ে আলোচনা এবং মাইজভাণ্ডারী শিল্পি ও সংগঠকদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে শেষ হল জাতীয় মাইজভাণ্ডারী গানের মেলা ১৯। চট্টগ্রামের মাইজভাণ্ডারী মরমী গোষ্ঠীর উদ্যোগে আজ ১৩ এপ্রিল শনিবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে মাইজভাণ্ডারী গানের এই মহা সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দেশের বনেদি শিল্পগ্রুপ পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ সুফী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। মাইভাণ্ডারী মরমী গোষ্ঠীর সভাপতি মো. সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে এতে উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, বাংলা একাডেমির সহকারী পরিচালক ড. সাইমন জাকারিয়া এবং দৈনিক সমকালের সিনিয়র সাব এডিটর ও লোকসংগীত গবেষক নাসির উদ্দিন হায়দার। এতে বক্তারা বলেন, মাইজভাণ্ডারী দর্শনের মূল কথা হল মানবতা। এই দরবার ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে সব মানুষের আধ্যাত্মিক সাধনার অনুপম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। মাইজভাণ্ডারী দর্শনের অনুপম অনুষঙ্গ হল মাইজভাণ্ডারী গান। এই গান গত দেড়শ বছরে বাংলা লোকসংগীতের সমৃদ্ধ ধারা হয়ে উঠেছে। উনবিংশ শতাব্দীতে মহান ধর্মসাধক সৈয়দ মাওলানা আহমদ উল্লাহ (ক) প্রবর্তিত বাংলা দেশের একমাত্র বাংলা তরিকা হল মাইজভাণ্ডারী তরিকা। এই তরিকায় নবযুগের স্রষ্ঠা হলেন মাওলা হুজুর সৈয়দ হাসান মাইজভাণ্ডারী। মানবতাবাদের অনুসারী মহান মাইজভাণ্ডারী তরিকা বাঙালীত্বের মর্মমূল থেকে উৎসারিত। মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অভয়াশ্রম ছিল মাইজভাণ্ডার দরবার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাইজভাণ্ডারের গভীর অনুরাগী ছিলেন। অনুস্টানে মাইজভান্ডারি গানের প্রচার ও প্রসারে বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা দেওয়া হবে সৈয়দ নিজাম উদ্দিন মন্টু (মরণোত্তর), মোহাম্মদ সৈয়দ ইউসুফ প্রকাশ টুনু কাওয়াল (মরণোত্তর), সৈয়দ আবু আহম্মেদ, আবদুল গফুর হালী (মরণোত্তর), বিনয়বাঁশী জলদাস (মরণোত্তর), কবিয়াল রমেশ শীল (মরণোত্তর), সন্দীপন দাশ, ফকির শাহাবুদ্দিন, কল্যাণী ঘোষ, শাহজান আলী খান, জামাল হাসান, অধ্যাপক এ ওয়াই এম জাফর ও হাসান শরীফ খানকে।