পরিস্হিতি২৪ডটকম : শুষ্ক ত্বকের সমস্যা যা জেরোসিস নামেও পরিচিত। এটি এমন এক ত্বকের অবস্থা যা ত্বকের বাইরের স্তরে আর্দ্রতার অভাব ঘটায়। চিকিৎসা না হলে শুষ্ক ত্বকে ফাটল, সাদা দাগ এবং সংক্রমণ দেখা যায়। শুষ্ক ত্বক সাধারণত গরম বা ঠাণ্ডা আবহাওয়া, গরম জলে স্নান এবং কম আর্দ্রতার পরিবেশগত কারণেও ঘটে। শুষ্ক ত্বক সাধারণত অস্থায়ী এবং সাধারণত শীতকালে এই সমস্যা বাড়ে। অতএব, শুষ্ক ত্বক আর্দ্র রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শুষ্ক ত্বকের সমস্যার মোকাবিলা করার জন্য ঘরোয়া সমাধান:
মধু : শুষ্ক ত্বকের জন্য আরেকটি দুর্দান্ত ঘরোয়া প্রতিকার হল মধু। মধু খুবই ময়শ্চেরাইজিং, এবং শুষ্কতা কমিয়ে ত্বক নরম করতে সাহায্য করবে। মধুতে অনেক ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এবং এতে অ্যান্টিমাইকোবিয়াল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। আপনি ফেস মাস্ক হিসাবে কাঁচা মধু প্রয়োগ করতে পারেন। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিনবার মধু প্রয়োগ করলে আপনার ত্বকের শুষ্কতা এবং সাদা দাগগুলি হ্রাস পাবে।
ওটমিলে স্নান : ওটমিল এমন এক প্রাকৃতিক উপাদান যা শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসার জন্য উপকারী। স্নানের সময় গুঁড়ো ওটমিল যোগ করলে বা ওটমিলযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বকের উপশমে সাহায্য করতে পারে। কাঁচা দুধ এবং ওট মিশিয়ে প্যাকও বানাতে পারেন।
দুধ : যদি ত্বকে চুলকানি বোধ করেন এবং আপনার ত্বকে সাদা দাগ দেখতে পান তবে ঠাণ্ডা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা দুধ একটি কাপড় ভিজিয়ে তা পাঁচ থেকে দশ মিনিটের জন্য আপনার ত্বকে প্রয়োগ করুন। দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড আপনার শুষ্ক ত্বকের জন্য বিস্ময়কর ভাবে কাজ করে।
নারকেল তেল : আমরা সবাই নারকেল তেলের বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা জানি। শুষ্ক ত্বকের চিকিত্সা করতে দুর্দান্ত কাজ করে প্রাকৃতিক নারকেল তেল। নারকেল তেল শুষ্ক ত্বকের চিকিত্সার জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি হিসাবে নিরাপদ এবং কার্যকর। এই তেল উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বকের হাইড্রেশন উন্নত করে এবং ত্বকে লিপিডের (চর্বি) সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
দই : আপনার ত্বকে দই প্রয়োগ করলে মুখে ময়শ্চারাইজারের পরিমাণ ঠিক থাকে এবং ব্রেকআউটের বিরুদ্ধেও তা লড়াই করতে পারে। মুখে দই প্রয়োগ করলে তা আপনার ত্বক নরম এবং ময়শ্চারাইজ করতে সহায়তা করে। এটি আপনার ত্বককে একটি মসৃণ টেক্সচার দেয়। আপনার ত্বকে সাদা দই প্রয়োগ করুন এবং প্রায় পনেরো মিনিটের জন্য ছেড়ে দিন। তারপর উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে দিন। শুষ্কতা হ্রাস করতে সপ্তাহে কয়েকবার বা প্রতিদিনই দই প্রয়োগ করতে পারেন।