পরিস্হিতি২৪ডটকম : রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের লুংটিয়ান গ্রামে হাম রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খেতি রাণী ত্রিপুরা (১২) নামে আরও একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে আট শিশুর মৃত হলো।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকালে বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান শিয়ালদহ মৌজার স্থানীয় হেডম্যান জৈপুতাং ত্রিপুরা।
তিনি জানান, শিশুটি গত কয়েকদিন আগে হাম রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। পরে সোমবার (২৩ মার্চ) দিনগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মৃত্যু হয়। বর্তমানে মহেন ত্রিপুরা (৮) নামে আরেকটি শিশু মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
এর আগে ২২ মার্চ দিনগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গেরাটি ত্রিপুরা (৯) নামে একটি শিশু মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সাজেক ইউনিয়নে হাম রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা আট ও আক্রান্তের সংখ্যা ১১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি গত কয়েকদিন পরিস্থিতির উন্নতি হলেও হঠাৎ করে রোববার থেকে পরিস্থিতি আবারও ভয়াবহ রূপ নেয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের দু’টি মেডিক্যাল টিম সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলোতে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবার কোনো ঘাটতি রাখছি না।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান হাবিব জিতু জানান, জেলা প্রশাসকের (ডিসি) করা নির্দেশ রয়েছে, যেকোনো মূল্যে সাজেকের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে। আর যেকোনো প্রয়োজনেই জেলা প্রশাসক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।
তিনি আরও জানান, আক্রান্ত শিশুদের উন্নতমানের পুষ্টি জাতীয় খাবার পরিবেশনের জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক।
সাজেক ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শিয়ালদহ এলাকার তিনটি গ্রামে গত ১৯ ও ২০ মার্চ ৬ শিশু হাম রোগে আক্রান্ত হয়েছে মারা গেছে এবং এসময় আক্রান্ত ছিল আরও ১০৭ জন। আর রোগটি মোকাবিলায় ২০ মার্চ সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সমন্বয়ে দুইটি মেডিক্যাল টিমকে হেলিকপ্টারে করে ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছিল।