পরিস্হিতি২৪ডটকম : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে তার মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি এটিএম আজহারুল ইসলামকে এ পরোয়ানা পড়ে শোনায় কারা কর্তৃপক্ষ। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে সোমবার (১৬ মার্চ) গভীর রাতে লাল কাপড়ে মোড়ানো মৃত্যু পরোয়ানাটি কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, এটিএম আজহারুল ইসলামের আইনজীবীরা সাক্ষাৎ করে তার সিদ্ধান্ত জানতে পারবে। নিয়ম অনুযায়ী এখন তিনি ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে রিভিউ আবেদন করতে পারবেন। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে এই আবেদন না করলে যেকোনো দিন রায় কার্যকর হতে পারে। তবে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করে দণ্ড পরিবর্তন হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। এর আগে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সব যুদ্ধাপরাধী রিভিউ আবেদন করেও রায় বদলাতে পারেনি।
রিভিউ আবেদন খারিজ হলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারুল ইসলামকে রাষ্ট্রপতির কাছে অপরাধ স্বীকার করে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে হবে। তিনি যদি প্রাণ ভিক্ষা না চান এবং চেয়েও যদি ক্ষমা না পান তাহলে রায় কার্যকরের ক্ষণগণনা শুরু হবে। রায় কার্যকরের আগে তিনি শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলকে একই সঙ্গে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গত বছরের ৩১ অক্টোবর তার সেই সাজা বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
রোববার (১৫ মার্চ) আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পৌঁছানোর পর তার বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপরই মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পাঠানো হয়।