মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী’র ৭৪ তম মৃত্যুবার্ষীকী স্মরণে স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন ও আলোচনা সভায় বক্তারা : দেয়াং পাহাড়ে মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর স্মৃতি বিজড়িত জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী
পরিস্থিতি২৪ডটকম : উপমহাদেশের মহান বিপ্লবী, স্বাধীনতা সংগ্রামী, মুসলমান সাংবাদিকতার পথিকৃৎ, সাহিত্যিক, দার্শনিক, লেখক, গবেষক, রাজনীতিবিদ, চট্টগ্রাম কদম মোবারক মুসলিম এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা, দেয়াং পাহাড়ে জাতীয় আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর ৭৪তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে স্বেচ্ছাসেবী সমাজ উন্নয়নমূলক সংগঠন পরিস্থিতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গতকাল (২৫ অক্টোবর ২০২৪) শুক্রবার বিকাল ৩ ঘটিকায় নগরীর স্টেশন রোডস্থ এশিয়ান এস আর হোটেলের ব্যানকুয়েট হলে মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিস্থিতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সাংবাদিক পরিবেশবিদ এ, কে, এম, আবু ইউসুফের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেরিট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের ট্রেজারার শিক্ষাবিদ লায়ন অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।
সিএইচআরসি’র সভাপতি সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম একরাম হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
প্রাবন্ধিক,কলামিষ্ট কামাল উদ্দীন,বাংলাদেশ মুসলমান ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আবুল হোসাইন, লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া,বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী শাখাওয়াত হোসেন, সমাজ উন্নয়ন কর্মী ফয়জুল্লাহ মজুমদার, শিক্ষাবিদ মুরিদুল আলম মুরাদ, শিক্ষাবিদ বাবু মিন্টু কুমার দাশ, সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ রানা, সাংবাদিক আবু হেনা খোকন,প্রাবন্ধিক আবদুল্লাহ মজুমদার, বেলাল হোসাইন মিন্টু, বিশিষ্ট সাংবাদিক ইমতিয়াজ ফারুকী, লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া, ফটোসাংবাদিক ওছমান জাহাঙ্গীর জিএম মামুনুর রশীদ,তারিফুল ইসলাম ,হারুনুর রশীদ প্রমূখ। সভায় আলোচকগণ বলেছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলাধীন দেয়াং পাহাড়ে মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর স্মৃতি বিজড়িত জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়ে আরো বলেছেন, মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী ধর্মচর্চা, শিক্ষা, সাহিত্য, রাজনীতি, সাংবাদিকতা ও সমাজসেবার পরিমণ্ডলে তিনি অপরিসীম অবদান রেখে গেছেন। মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী বাংলার মুসলমানদের মাঝে আত্মজাগরণের প্রেরণা ছড়িয়ে দেন এবং সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অধিকার আদায়ে পিছিয়ে পড়া মুসলমানদের অগ্রসর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি চট্টগ্রামের দক্ষিণ মহকুমার কর্ণফুলীর তীরবর্তী দেয়াং পাহাড়ে জাতীয় আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিল তাঁর আজীবন। ১৯১৫ সালে তিনি সেই লক্ষ্যে বঙ্গসরকার থেকে ৬০০ বিঘা জমি ও একই এলাকার জমিদার আন্নার আলী খান থেকে ৫০০ কানি ভূমি রেজিস্ট্রি মূলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গ্রহণ করেছিলেন। সে ধারাবাহিকতায় দেশের জাতীয় আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে জোর দাবী জানান। বৈঠকে বক্তারা বলেন, মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক, উদার মানবতাবাদী, সাংবাদিকতা জগতের পথিকৃৎ, ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর রাজনীতিবিদ, শিক্ষক এবং বিচক্ষণ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর কর্ম ও ধ্যান ছিল সাধারণ মানুষের বহুমাত্রিক উন্নয়নে এগিয়ে নেওয়া। মাওলানা ইসলামাবাদীর সমগ্র জীবন ছিল সংগ্রামী ও কর্মময়। শিক্ষকতা-সাংবাদিকতা, ধর্মপ্রচার ও রাজনীতিতে, সমাজসেবা ও শিক্ষা আন্দোলন, নারী-শিক্ষায়, সাহিত্যকর্ম এবং একটি সুশিক্ষিত জ্ঞাননির্ভর ও উদারপন্থী জাতি প্রতিষ্ঠায় তাঁর সারাজীবনের ত্যাগ-তিতিক্ষা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বাঙালি চিরকাল স্মরণ করবে।