আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভোটের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাহারাদার নিয়োগের নামে গৃহযুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে বিএনপি, এটা সহ্য করা যায় না। তারা গৃহযুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে, কারণ কেন্দ্রে কেন্দ্রে তিনশত থেকে পাঁচশত লোক পাহারা দেওয়ার অর্থ কি?
বৃহস্পতিবার হোটেল র্যাডিসন ওয়াটার গার্ডেনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাহলে আমরাও যদি কেন্দ্রে কেন্দ্রে তিনশত থেকে পাঁচশত লোকের ব্যবস্থা করি, অবস্থাটা কী হবে?‘তাহলে ভোট হবে না গৃহযুদ্ধ হবে? ভোট হবে না ভায়োলেন্স হবে?’
বিএনপির আন্দোলনের হুমকির জবাবে তিনি বলেন, সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ তো দূরের কথা, বাংলাদেশের কোথাও একটা রিপলও দেখলাম না। ফখরুল সাহেবরা স্বপ্ন দেখতেই পারেন। জনগণের ওপর যদি আস্থা থাকে তাহলে কীভাবে তারা অবিরাম অ্যাগ্রেসিভ মুডে কথা বলছে?
জামায়াত নিবন্ধন হারালেও দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। এ প্রসঙ্গ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জামায়েতে ইসলামী তাদের (বিএনপির) জোটে আছে। বিএনপি তাদের এই জানের-জান দোস্তকে কখনও হারাতে চায় না। কখনও এই বন্ধুত্বে ফাটল ধরবে না।
‘কারণ… আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে হলে জামায়েতের সেই জঙ্গি শক্তিটা দরকার আছে। তাদের ছাড়বে না এটাই স্বাভাবিক।’
বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা আক্রমণাত্মক ভাষায় কথা চালিয়ে গেলে তা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে বিঘ্নিত করবে বলে হুশিয়ার করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।‘দেশের জনগণ যখন একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যাশার কথা বলছে, তখন বিএনপি নেতারা আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করে নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশকে নষ্ট করছে,’ বলেন ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে বলে যে অভিযোগ বিএনপি করছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটা ইসিকে জিজ্ঞাসা করুন, আমার দৃষ্টিতে কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ পাচ্ছি না। বরং আমরা কিছু অভিযোগ করেছি, তারা (ইসি) বলেছে না, আরপিও কাভার করে না।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতারের অভিয়োগ অস্বীকার করেন ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, মনোনয়নপ্রত্যাশীরা যদি পল্টনে… নৃত্য করতে করতে পুলিশের গাড়ির ওপর চড়াও হয়, পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে ফেলে, পুলিশের ওপর হামলা করে, তারা কি নিরপরাধ? তারা যদি প্রার্থীও হয়, তাহলে কি ক্ষমা করা যাবে?
ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব বিএনপির হাতে যাচ্ছে- এমন গুঞ্জনের প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, এখানে ঐক্যফ্রন্ট কোনো বিষয় নয়। ঐক্যফ্রন্ট জাস্ট একটা অ্যালায়েন্সের।‘যেহেতু তাদের (বিএনপি) নেত্রী-নেতা দণ্ডিত, তাদের চেয়ারপারসন কারাগারে, এই অবস্থায় কামাল হোসেনকে তারা ব্যবহার করছে এবং আরও কিছু কিছু নিয়ে আসছে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে এই ঐক্যফ্রন্টের চালিকাশক্তি হচ্ছে বিএনপি এবং এই ঐক্যফ্রন্টের সকল কর্মকাণ্ডের নির্দেশনা আসছে লন্ডন থেকে। লন্ডন থেকে তারেক রহমান যে নির্দেশ দিচ্ছে তার অঙ্গুলি হেলানে আজকে ঐক্যফ্রন্ট চলছে, এটা হল বাস্তবতা।
আওয়ামী লীগ মনোনয়নের ক্ষেত্রে জরিপের কথা বললেও বাস্তবে প্রশাসনে গুরুত্ব রাখতে পারে এমন ব্যক্তিদের গরুত্ব দিচ্ছে বলে গণমাধ্যমে যে খবরে এসেছে- সে বিষয়েও ওবায়দুল কাদের তিনি বলেন, এটা অ্যাবসলিউটলি রং।
‘আমরা সম্পূর্ণভাবে সার্ভে রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে মনোনয়ন দিচ্ছি। এখানে কোনো কমপ্রোমাইজ করে লাভ নেই। জনগণ চায় না এমন প্রর্থীকে কেন আমরা মনোনয়ন দেব? পরাজিত হওয়ার ভয় আছে না?