পরিস্হিতি২৪ডটকম : আজ রোববার (৭ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সর্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।
আজকের দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সমতা ও সংহতি নির্ভর সর্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা’।
তিনি বলেন, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে বৈশ্বিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছি। একই সঙ্গে জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের দায়িত্ববোধ বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।
বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় অর্থায়ন কৌশলপত্র প্রণয়ন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, অত্যাবশ্যকীয় সেবা প্যাকেজ চালুকরণ, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসএসকে সেল গঠন, ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি’ নামে পাইলট প্রকল্প চালুকরাসহ সরকারের সময়োপযোগী বিভিন্ন উদ্যোগ দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের গতিকে বেগবান করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্য শিক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যখাতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার এবং আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে।
সমাজের প্রত্যেক স্তরে জনগণের প্রয়োজনীয় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি সহজলভ্য হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশ এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড ও গ্যাভি অ্যাওয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদের সরকার দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন ও মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য ও সবার সুস্বাস্থ্য কামনা কমনা করেন।