বাংলাদেশ, , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ফরিদপুরে এক ঘরে স্বামী-স্ত্রীর লাশ

  প্রকাশ : ২০২০-০২-১৮ ২১:০৯:০২  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : ফরিদপুরে এক ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নিহত স্মৃতি বণিকের ভাই নিলয় বণিক বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় এ মামলাটি করেন।

নিহতরা হলেন- রাজীব বিশ্বাস (৩৪) ও স্ত্রী স্মৃতি বণিকের (২২)। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে বিকালে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের ধারণা, স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন স্বামী।

গত সোমবার রাতে শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার লঞ্চঘাট এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি হতে রাজীব ও স্মৃতির লাশ উদ্ধার করা হয়। স্মৃতির লাশ ঘরের শয্যায় শায়িত অবস্থায় এবং রাজীবের মৃতদেহ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

স্মৃতির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে রাজীব বাটিকামারি স্কুল এন্ড কলেজে খণ্ডকালীন শিক্ষকের চাকরি নেন। ওই স্কুলেই পড়তেন স্মৃতি। একই সঙ্গে রাজীব স্মৃতির গৃহ শিক্ষক ছিলেন। সেখান থেকেই দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে পরিবারের অমতে স্মৃতি বিয়ে করেন রাজীবকে। এর মাস ছয়েক পরে স্মৃতি তার মামাদের কাছে গিয়ে বিয়ে মেনে নিয়ে সনাতন রীতি অনুযায়ী বিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। স্মৃতির মামারা প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী অনুষ্ঠান করে রাজীবের সঙ্গে বিয়ে দেয়। এরপর থেকে তারা ফরিদপুর শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার শওকত সিকদারের এক তলা পাকা ভবনে ভাড়া থাকতেন। স্মৃতি মাঝে মধ্যে মা ও মামাদের কাছ থেকে টাকা চেয়ে আনলেও পারিবারিক অশান্তির কথা তাদের কাছে কখনো বলেননি।

স্মৃতির মাসী বাসনা পোদ্দার জানান, ঘটনার দিন স্মৃতির প্রতিবেশীরা তাকে প্রথমে জানায় যে, রাজীব স্মৃতিকে মারধোর করেছে। ওদের ঘর তালাবদ্ধ। এরপর তিনিসহ বাড়ির মালিক দরজা ভাঙার চেষ্টা করে না পেরে জানালা খুলে দেখতে পান রাজীব সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে, আর স্মৃতি নিথর হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। পরে তারা পুলিশকে জানালে পুলিশ পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।

ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, রাগারাগির এক পর্যায়ে মাথায় আঘাত করায় মারা যান স্মৃতি। স্মৃতির মাথার পিছনের দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, স্মৃতির মৃত্যুর পর রাজীব গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।



ফেইসবুকে আমরা