পরিস্হিতি২৪ডটকম : পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারত আবারও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় উচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থানে রয়েছে পাক সেনাবাহিনী। এ বিষয়টি সম্পর্কে জানে এমন বেশ কয়েকটি সূত্র পাক সংবাদমাধ্যম ডনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এসব সূত্র থেকে জানা গেছে যে, লাদাখ ও ডোকলামে ‘অপমানজনক পরাজয়ের’ পর লাইন অব কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণ রেখা) এবং পুলওয়ামা সীমান্তের অপর পাশে পাকিস্তান অংশে আবারও হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এ ধরনের হামলাকে হুমকি হিসেবে দেখছে পাকিস্তান।
ভারত এর মধ্যেই অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে জম্মু ও কাশ্মীরের পাক নিয়ন্ত্রিত অংশের কয়েকটি এলাকায় ভারতের গোলাবর্ষণে দুই পাক সেনা সদস্য নিহত এবং এক বেসামরিক নারী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানি কর্মকর্তারা।
ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স এক টুইট বার্তায় নিহত পাক সেনাদের পরিচয় জানিয়েছে। এরা হলেন, ল্যান্স নায়েক তারিক (৩৮) এবং সেপো জারোফ (৩১)। ভারতের হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে বলে পাকিস্তান আইএসপিআর দাবি করেছে। এক পুলিশ কর্মকর্তা ডনকে জানিয়েছেন, হামলায় আহত নারীর নাম নাসিম ফাতিমা। তিনি তাই গ্রামের বাসিন্দা।
নিয়ন্ত্রণ রেখায় যে কোনো সময় পুলওয়ামার মতো নাটকের পুনরাবৃত্তি ঘটানো হতে পারে বলে এক পাক কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে বিশ্বের নজর ঘোরাতে এমন পরিকল্পনা করছে ভারত।
এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) অতিক্রম করে পাক-অধ্যুষিত কাশ্মিরে সন্দেহভাজন জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালানোর দাবি করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তখন ওই হামলাকে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নামে অভিহিত করা হয়েছিল। তবে ভারতের এই হামলার দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে পাকিস্তান।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেও একই ধরনের হামলা চালিয়েছে ভারত। তবে সে সময় পাক বিমান বাহিনীর গুলিতে দুটি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত হয়। এছাড়া ভারতীয় উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করে পাক সেনাবাহিনী। তবে পরবর্তীতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের দাবি, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভারত ৯ হাজার ২১৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এতে হতাহত হয়েছে মোট ১ হাজার ৪০৩ জন। আর চলতি বছর ভারত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ২ হাজার ৮৩০ বার। এতে চলতি বছর মোট হতাহতের সংখ্যা ২৭১।