পরিস্থিতি২৪ডটকম : প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বুধবার (১ জুন) দলের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ৯০ শতাংশ উন্নয়ন নিজস্ব অর্থায়নে করছি। পদ্মা সেতু একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সততা ছিল বলেই এই চ্যালেঞ্জ নিতে পেরেছি। নিজস্ব অর্থে করেছি সেই সেতু।
এ সেতু আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন করবো ইনশাআল্লাহ।
এসময় প্রধানমন্ত্রী জানান, দুর্নীতির ধোয়া তুলে পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে। যার কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ড. ইউনূস এটা করেছেন শুধু গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদের জন্য। ৭১ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি বেআইনিভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থেকেছেন। এ নিয়ে মামলা করে হেরে যান। বিশ্বব্যাংক তার কথায় ফান্ড বন্ধ করে দেয়। পরে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করি। কানাডা কোর্ট রায়ে বলেছে, সব অভিযোগ ভুয়া ও মিথ্যা।
বাংলাদেশ বদলে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের অবস্থা ছিল দুঃখজনক। কারণ তখন ক্ষমতা তো জনগণের হাতে ছিল না। ক্ষমতা চলে গিয়েছিল মিলিটারি ডিকটেটরদের হাতে। উর্দি পরে ক্ষমতা দখল করতো। ফলে দেশের উন্নয়ন না করে তাদের উন্নয়ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি। সেশনজট ছিল। সে অবস্থা থেকে তুলে এনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। তৃণমূল পর্যায় থেকে উন্নয়ন করছি। আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।
বাজেটের বিষয়ে সরকার প্রধান বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দিয়ে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করি। আমরা সেই ইশতেহার ভুলে যাইনি। প্রতিবার বাজেট ঘোষণার সময় ইশতেহার হাতে নিয়ে কতটুকু অর্জন করতে পারলাম, আর কতটুকু আমাদের সামনে করতে হবে সেগুলো বিবেচনা করি। তারপর বাজেট করা হয়। এবারও তাই করছি।
এদিন বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে ওই সভা শুরু হয়। সভার শুরুতে জাতির পিতা, জাতীয় চার নেতা, ১৫ আগস্টের শহীদ এবং প্রয়াত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সুত্র : জাগোনিউজ২৪ডটকম ।