পরিস্হিতি২৪ডটকম : পদ্মার সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১৩ ও ১৪ নং খুঁটির ওপর দশম স্প্যানটি হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার পর স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্যদিয়ে পদ্মা সেতুর দেড় কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো। সেতুর দায়িত্বশীল প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ভাসমান ক্রেনবাহী জাহাজটি কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি (সুপার স্ট্রাকচার) নিয়ে রওনা হয়। সকাল ৯টার দিকে ১৩ ও ১৪ নং খুঁটির সামনে চলে আসে। স্প্যানবাহী জাহাজটি যথাযথ স্থানে নোঙ্গর করা হয়। তারপরই স্প্যানটি খুঁটিতে বসানো হয়। সেতুর ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান পদ্মা সেতুর দেড় কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো।
বহু প্রতিক্ষার পর অবশেষে মাওয়া প্রান্তে বসলো স্প্যানটি। যদিও পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি বসানোর কথা ছিল মাওয়া প্রান্তে। কিন্তু নদীর তলদেশের মাটি নরম থাকায় এ পারের কাজ দেরিতে শুরু হয়। তাই জাজিরায় কাজ শুরু হয়। একে একে জাজিরায় ৮টি স্প্যান বসানো হয়েছে। এবার স্প্যান বসতে যাচ্ছে মাওয়ায়। তাই পদ্মার এ পারের মানুষ বেজায় খুশি। এর আগে অস্থায়ীভাবে মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটিতে একটি স্প্যান বসানো হয়। ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটিতে এটি বসানোর কথা ছিলো। কিন্তু ৬ ও ৭ নং খুঁটি প্রস্তুত না থাকায় অস্থায়ীভাবে এটি ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয়েছে। পরবর্তীতে ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটি প্রস্তুত হবার পর এটি সরিয়ে নেয়া হবে। একই সাথে প্রথম পর্যায়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়া ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটির পাইল অবশেষে শেষ হতে যাচ্ছে কাল বৃহস্পতিবার। ৭ নম্বর খুঁটিতে ৭টি পাইলই স্থাপন হয়ে গেছে। এর মধ্যে চারটি ট্যাম (খাঁজকাটা) পাইল। আর ৬ নম্বর খুঁটির ৬ ছয়টি পাইলই সম্পন্ন হয়েছে। বাকি একটি পাইলও সম্পন্ন হওয়ার পথে। বাকি অংশটুকু কাল বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে।
এদিকে ১১ তম স্প্যান বসতে যাচ্ছে ২০ এপ্রিল জাজিরায় ৩৪ ও ৩৩ নম্বর খুঁটিতে। ‘৬সি’ নম্বর স্প্যানটি বসানোর পরিকল্পনাও এখন চূড়ান্ত। ৩৪ নম্বর খুঁটিতে লেফটিং ফ্রেম (স্প্যান ঝুলিয়ে রাখার যন্ত্র) বসানো হচ্ছে এখন। পদ্মা মূল সেতুর ২৯৪টি পাইলে থাকবে মোট ৪২টি খুঁটি। যার মধ্যে নদীর মধ্যে ২৬২ টি পাইল। মূল সেতুর ২৯৪ টি পাইলের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪৭ টি পাইলের কাজ শেষ হয়েছে। এসব খুঁটির ওপরে ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। ইতোমধ্যেই ৯টি স্প্যান বসে গেছে। ৪২টি খুঁটির মধ্যে ২২টি খুঁটির নির্মাণ পুরোপুরি হয়ে গেছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে আরও ১০টি খুঁটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তাই ক্রমশঃ সেতু দৃশ্যমান হতে চলেছে।