পরিস্হিতি২৪ডটকম : নগরের বহদ্দারহাটের এমএ মান্নান ফ্লাইওভার, মুরাদপুর থেকে লালখানবাজার পর্যন্ত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার, কদমতলী ও দেওয়ানহাট ওভারপাস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে টাইগারপাসে চসিকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে চারটি স্থাপনা হস্তান্তর করা হয়। এ সময় চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চউক চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, চউক এ নগরে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ৪টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছিল। এগুলো হচ্ছে- আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার, এমএ মান্নান ফ্লাইওভার, কদমতলী ও দেওয়ানহাট ওভারপাস। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ফ্লাইওভার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চসিকের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এগুলো আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করবো।
চউক নির্মিত ৪ ফ্লাইওভারের দায়িত্ব চসিককে হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান। তিনি বলেন, হস্তান্তরের আগে উভয় প্রতিষ্ঠানের টিম আলাদা আলাদাভাবে সার্ভে করেছে। চউকের মেইনটেইন সক্ষমতা নেই। আইনেরও বাধ্যবাধকতা আছে। কদমতলী ও বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারে আমাদের কিছু সংস্কার কাজ করতে হবে। উপরেও করতে হবে, নিচেও করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা কাজগুলো করবো। আমাদেরও (চসিক) আর্থিক সীমাবদ্ধতা আছে। পাশাপাশি জনবলেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী, বন্দরনগর, সমৃদ্ধ জেলা শহর। চুয়েট সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আসছেন। তিনি সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করবেন। আগামীতে প্রধানমন্ত্রীও আসার সম্ভাবনা আছে। আমাদের আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টা আছে। অনেক সময় প্রয়োজনীয় সময়ে কাজ শেষ করতে পারি না।
চউক চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর নতুন একটি অ্যাক্টে দেখলাম- সিডিএ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন সংস্থা। নিয়ম হচ্ছে সরকার সিডিএর মাধ্যমে সরাসরি উন্নয়ন কাজ করে। কোনো প্রকল্প করার পর স্থানীয় সরকার বিভাগের সংস্থা সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদকে হস্তান্তর করার নিয়ম রয়েছে। আমি দেখলাম ৪টি ফ্লাইওভার নির্মাণের ২-৩ বছর হয়ে গেছে। হস্তান্তর করা হয়নি। মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখলাম। মন্ত্রণালয় সভা ডাকলো। মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিয়েছে-চসিককে হস্তান্তর করার। এরপর আমরা চসিককে চিঠি দিই। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, দুই সংস্থার প্রধান প্রকৌশলী, চউকের প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সুত্র : বাংলানিউজ২৪ডটকম।