বাংলাদেশ, , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ড. হাছান মাহমুদ পুনরায় পূর্ণমন্ত্রী হলেন

  প্রকাশ : ২০১৯-০১-০৯ ২০:২৫:১৩  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : চট্টগ্রাম-৭ আসনের এই সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদে পূর্ণ মন্ত্রী হলেন । তিনি আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক । বর্তমানে তিনি তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙ্গুনিয়া থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে প্রথমে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ছয় মাস পর পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন হাছান মাহমুদ। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে সাড়ে চার বছর সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হন তিনি।পরবর্তীতে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ সরকারে তিনি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও ২০০৮ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।
ড. হাছান মাহমুদ দেশে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একজন খ্যাতিমান পরিবেশবিদ হিসেবে সুপরিচিত। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও দলের অন্যতম মুখপাত্র এবং জাতীয় সংসদের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দেশের পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ুজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই নেতা ১৯৬৩ সালের ৫ই জুন জন্মগ্রহণ করেন।

স্কুল জীবনেই বাংলাদেশ ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হওয়া তৃণমূলের এই নেতা সফল নেতৃত্বের মাধ্যমে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে তথা দেশ এবং বিদেশেও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রশংসিত হচ্ছেন। উত্তাল ছাত্ররাজনীতির পাঠ চুকিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ১৯৯২ সালেই বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে যান মেধাবী এই রাজনীতিক। সেখানে ভর্তি হন ইউরোপের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ ব্রিজে ইউনিভার্সিটিতে। শিক্ষা জীবনে ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক পাশ করা এই রাজনীতিক দেশে বিদেশে মোট তিন বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি ও পরিবেশ রসায়নে পিএইচডি ইন সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইনঅর্গানিক কেমিস্ট্রি (রসায়ন) বিষয়ে প্রথম মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করা হাছান মাহমুদ ১৯৯৬ সালে বেলজিয়ামের ব্রিজে ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাসেলস থেকে হিউম্যান ইকোলজি (পরিবেশ বিজ্ঞান) বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। একই সালে বেলজিয়ামের আরেক নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব লিবহা দু ব্রাসেলস থেকে ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
২০০১ সালে বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাম থেকে পরিবেশ রসায়ন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন দেশের বর্তমান সময়ের মেধাবী রাজনীতিক ড. হাছান মাহমুদ। ১৯৯৩ সালে ব্রিজে ইউনিভার্সিটির সমস্ত বিদেশি ছাত্রদের স্টুডেন্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পাশাপশি বেলজিয়াম আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার উদ্যোগ নেন। নির্বাচিত হন বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক রাজনীতির সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ছাত্র জীবনে তিনি প্রথমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম শহরের জামালখাঁন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৭৮ সালের শেষার্ধে চট্টগ্রাম সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামের সরকারি হাজী মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮১ সালে ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে সামরিক শাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময়ে তিনি গ্রেফতার হন। পরে ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
তার সুদক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে নব্বই দশকের শুরুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের নির্বাচনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য বিপুল বিজয় লাভ করেন। সেই নির্বাচনের সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে প্রার্থী হতে না পারলেও তিনিই ছিলেন সেই নিবার্চনে সমস্ত প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান। আশির দশকের শুরুতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন মেধাবী এই নেতা। ১৯৯২ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সর্বকনিষ্ঠ সদস্য মনোনীত হন হাছান মাহমুদ।



ফেইসবুকে আমরা