ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিল অনুষ্ঠানে বক্তারা : মুজিববর্ষে চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে স্বাধীনতা পদক প্রদান সময়ের দাবি

পরিস্হিতি২৪ডটকম : ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিল আয়োজিত ‘ক্ষণজন্মা পুরুষ চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীঃ রাজনৈতিক জননেতা’ শীর্ষক সেমিনার, আলোচনা সভা ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, দেশের মাটি ও মানুষের জন্য অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ চট্টগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা, চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে মুজিববর্ষ ২০২০ সালে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বাধীনতা পদক প্রদান করা এখন সময়ের দাবি। এই মৃত্যুঞ্জয়ী বীরের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমেই নতুন প্রজন্ম ভালকাজে উজ্জীবিত হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সফল সিটি মেয়র ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসকাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, ডিজিটাল বাংলাদেশ পাবলিসিটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মোজাফফর হোসেন পল্টু।

সংগঠনের সভাপতি, দেশের অন্যতম প্রযুক্তিবিদ ও উদ্যোক্তা প্রকৌশলী পুলক কান্তি বড়ুয়া’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক স.ম জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব ছায়ীদুর রহমান, সহ সভাপতি নাসরিন সুলতানা, চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি, ঢাকার সভাপতি ড. জমির উদ্দিন সিকদার, সাধারণ সম্পাদক আকাশ আহমেদ, ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশার, চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার মহাসচিব শাহিন উল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য কায়কোবাদ ওসমানী, যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় ওলামা লীগ নেতা রবিউল আলম সিদ্দিকী, সাংবাদিক বিপ্লব বিজয়, মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী, সদস্য সচিব ডা. মো. জামাল উদ্দিন, সমন্বয়কারী সুরেশ দাশ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও শিক্ষাবিদ ড. জিনবোধি ভিক্ষু।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, মৃত্যুঞ্জয়ী মহিউদ্দিন চৌধুরী তাঁর কালজয়ী কর্মকাণ্ডের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। ৭৫ পরবর্তী অপসংস্কৃতি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়। চট্টগ্রামের প্রতি তাঁর মমত্ববোধ ও ভালোবাস ছিল ঈর্ষনীয়।
প্রবন্ধকার ড. জিনবোধি ভিক্ষু বলেন, জনতার কাতারে না দাঁড়ালে জনবান্ধব নেতা হতে পারে না। মাটি ও মানুষের নেতা মহিউদ্দিন আমৃত্যু দেশের কল্যাণ, সমৃদ্ধি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের জন্য কাজ করে গেছেন। তাঁর কর্মকান্ডের মাঝে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।
ড. জমির উদ্দিন সিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ জল, স্থল ও আকাশ জয় নয় এখন বিশ্বব্যাপী রোল মডেল। মহিউদ্দিন চৌধুরীর আদর্শকে অনুসরণ করে নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানমালার সমাপণীতে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্মাননা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সম্মাননা প্রদান করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি