পরিস্হিতি২৪ডটকম : মোবাইল অ্যাপ ভিগো লাইভ, টিকটক, লাইকি অ্যাপ বন্ধ বা নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
জনস্বার্থে বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন।
নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি আইনজীবী নিজেই নিশ্চিত করেন।
নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এসব অ্যাপ অ্যাপ বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এর প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানান আইনজীবী।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে আর খাঁন রবিন জানান, এইসব অ্যাপ ব্যবহারে তরুণ প্রজন্ম বিপদগামী হচ্ছে। নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ নষ্ট হচ্ছে। তরুণরা কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে অপরাধমূলক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে, সহিংস হয়ে উঠছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে তরুণরা সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চান এবং অনেক তরুণ-তরুণী নিজেকে খুব জনপ্রিয় ভাবতে শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, ভিগো লাইভ অ্যাপের মাধ্যমে তরুণ ও যুবকদের টার্গেট করে লাইভে এসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব দিয়ে এবং যৌনতার ফাঁদে ফেলে কৌশলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক তরুণ। এ অ্যাপটি মূলত একটি লাইভ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে একজন ব্যবহারকারী তার অনুসারীদের সঙ্গে লাইভে মুহূর্ত শেয়ার করেন। এই অ্যাপের ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান অ্যাপটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
লিগ্যাল নোটিশে আইনজীবী উল্লেখ করেন, টিকটক অ্যাপের মাধ্যমে অনেক কিশোর-তরুণ উদ্ভট রঙে চুল রাঙিয়ে এবং ভিনদেশি অপসংস্কৃতি অনুসরণ করে ভিডিও তৈরি করছেন, যাতে সহিংস ও কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট থাকে। স্বল্প বসনা তরুণীরা অশ্লীল নাচ, গান ও অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেদের ধূমপান ও সিসা গ্রহণ করার ভিত্তিও আপলোড করেছেন। এসব ভিডিওগুলোতে কোনো শিক্ষনীয় বার্তা নেই। উল্টো এসব ভিডিওর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে ভুল বার্তা চলে যাচ্ছে। বিব্রতকর, অনৈতিক ও অশ্লীল ভিডিও যা পর্নোগ্রাফিকে উৎসাহিত করায় ইতোমধ্যে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এই অ্যাপগুলোর মধ্যে এক ধরনের শো-অফ বিষয় থাকে।