পরিস্হিতি২৪ডটকম : ১৫ জানুয়ারি ২০২০ বুবধার দুপুর ১২ টায় বন্দর কর্তৃপক্ষ বালিক উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে চট্টল ইয়ূথ কয়ারের উদ্যোগে মুজিব বর্ষের সাংস্কৃতিক কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কয়ার মহাসচিব মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য অর্থ মোঃ কামরুল আমিন, এডভোকেট মঞ্জুর মাহমুদ খান, বন্দর সদস্য (প্রশাসন) মোমিনুর রশীদ, বন্দর কর্তৃপক্ষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিয়া খাতুন, কয়ার কর্মকর্তা সুজিত দাশ অপু, প্রণব রাজ বড়ুয়া, বন্দর সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাঈমুল ইসলাম ফটিক, নুরুল আব্বাস, মোহাম্মদ ইমরান, ডি কে দাশ মামুন, সমীরন পাল, রোজী চৌধুরী, মোহাম্মদ আমিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, আমি আজ এখানে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আরো স্মরণ করছি আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে নিহত ৩০ লক্ষ শহীদ ও পাকিস্তানিদের হাতে নির্যাতিত সেই দুই ল মা-বোনসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, যিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন। মায়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তিনি এ দেশকে মানবিক দেশ হিসেবে বিশ্বে প্রশংসিত করেছে। এ ছাড়া তিনি এ দেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। আমাদের প্রিয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন নিজের হাতে তুলে নিয়ে চট্টগ্রামকে একটি নান্দনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলেছেন। আমি আশা করছি, আমাদের চট্টগ্রামবাসীও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবেন ও ভালোবাসা জানাবেন। আপনারা জানেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ (২০২০-২০২১) উদ্যাপন উপলে আমাদের সরকার ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সাম্প্রতিককালে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০২০-২০২১ সালকে মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছেন। ১০ জানুয়ারি আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে বীরের বেশে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন। সেই মহান স্মৃতিকে হৃদয়ে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত মুজিববর্ষের ণগণনার আনুষ্ঠানিক কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশে একযোগে এ মহা কর্মসূচির উদ্বোধন হয় এবং সাধারণ মানুষ প্রাণভরে উপভোগ করেন এই মহা কর্মসূচির অনুষ্ঠান। আগামী ১৭ মার্চ ২০২০ আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ পূর্ণ হবে। ১৭ই মার্চ থেকে শুরু হবে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উদ্যাপনের নানান কর্মসূচি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সারাবিশ্বের অনেক নেতা আমাদের বাংলার মাটিতে পা রাখবেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উদ্যাপন উপলে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের প্রিয়নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের কাছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে তুলে ধরবেন এটি আমরা প্রত্যাশা করছি। আমরা সবাই জানি, জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ সর্বোপরি অসাম্প্রদায়িক উদার মানবিক বাংলাদেশ গড়তে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকল্প নেই। আর এ লক্ষ্যে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের বিকাশে নানানভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের অসংখ্য শিল্প-সাংস্কৃতিক সংগঠনকে প্রতি বছর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় হতে অনুদান দেয়া হচ্ছে। অসুস্থ শিল্পীদেরকে আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের উন্নয়নের জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় নিরলভাবে কাজ করছে। এ বিষয়ে আমাদের কাজের গতিকে বেগবান করার জন্য আপনাদের পরামর্শ আমরা একান্তভাবে প্রত্যাশা করি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষের কর্মসূচি সরকারিভাবে উদ্যাপনের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও অনেক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এ উৎসব পালন করার উদ্যোগ নিয়েছে। চট্টল ইয়ূথ কয়ারও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে ২০১৪ সাল থেকে স্কুলভিত্তিক বঙ্গবন্ধু বিষয়ক কর্মসূচি শুরু করেছে জেনে আমি বেশ আনন্দিত। আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানাতে স্কুলভিত্তিক কর্মসূচির বিকল্প নেই। আজ এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টল ইয়ূথ কয়ারের উদ্যোগে ২০২১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজনের আমি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করছি। আজকের এই সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য আমি বন্দর কর্তৃপকে অভিনন্দন জানাই এবং আরো অভিনন্দন জানাই বন্দর কর্তৃপ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সকল শিক্ষকমণ্ডলীকে। এ ধরনের আয়োজন করার জন্য চট্টল ইয়ূথ কয়ারকেও ধন্যবাদ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি