পরিস্হিতি২৪ডটকম : চট্টগ্রাম ৮ আসনের সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য বাংলাদেশ জাসদের একাংশের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল মারা যাওয়ায় তার আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। সংসদ সচিবালয় ইতোমধ্যে বাদলের আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ওয়েবসাইট থেকে তার নাম ও ছবি সরিয়ে নিয়েছে। আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই যেহেতু উপনির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেই হিসেবেই এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে বাদলের শূন্য আসনে উপনির্বাচন হতে পারে আগামী ৬ জানুয়ারি। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম ৮ আসনের সাংসদ মঈনুদ্দিন খান বাদল এর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনটিতে উপনির্বাচনে বেশ কিছু প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে একজন প্রার্থী হলেন চট্টগ্রাম নগরীর মোহরার বাসিন্দা তরুণ রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। তিনি অত্যন্ত সৎ এবং সদালাপী বলে সবার কাছে সুপরিচিত। গত সংসদ নির্বাচনের আগে থেকে তিনি নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশা করে এলাকায় ব্যাপক পোস্টারিং করেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে তার রয়েছে ঘনিষ্ঠতা।ক্লিন ইমেজের তরুণ এ আইনজীবীও চান নৌকার মনোনয়ন নিয়ে সংসদে যেতে। চট্টগ্রাম ৮ আসনের সদ্য প্রয়াত সাংসদ মহিউদ্দিন খান বাদল যিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান এবং সুবক্তা। তিনি অনেক সভা-সমাবেশেব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিনকে তুলে ধরেছেন । মঈনুদ্দিন খান বাদল বিভিন্ন সভা সমাবেশে বলেছেন ” আমাদের সময় আমরা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি, স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে এনেছি। এখন সময় হল দেশকে গড়ার, সামনে নিয়ে যাবার। যে স্বাধীনতা পেয়েছি তা সম্মানের সাথে ধরে রাখতে হলে আমাদের এখন দরকার যোগ্য মানুষ। সেই রকম ভালো এবং যোগ্য মানুষ না পেলে সত্যিকার অর্থে স্বাধীনতার সুফল কখনোই পাওয়া যাবে না। আপনাদের সামনে সেরকম একজন যোগ্য মানুষ হল ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। আমি এইবার এসেছি পরে হয়তো আর আসতে পারবো না, তখন আপনাদের কাছে আসবে ব্যারিষ্টার কফিল উদ্দিন। যাদের হাতে দেশ থাকলে দেশ কখনো ব্যর্থ হবে না, মানুষ কখনো কষ্ট পাবে না।” এলাকার সাধারণ মানুষও সৎ, যোগ্য এবং নিষ্ঠাবান জনপ্রতিনিধি চান। সাধারণ মানুষের কাছে ব্যারিস্টার এস, এম কফিল উদ্দিনের গ্রহণযোগ্যতা সীমাহীন। এমনও বলেছেন পরবর্তীতে কাণ্ডারী হবেন ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহলেও তরুণ ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিনের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তার পড়ালেখা, বয়সে তরুণ এবং সৎ বলে। বর্তমান শুদ্ধি অভিযানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ধরনের মানুষের উপর আস্থা রাখতে চান তা অন্য যেকোনো প্রার্থীর চেয়ে ব্যারিস্টার কফিল উদ্দিনের সম্ভাবনা বেশি বলে স্থানীয় জনগণ মনে করেন। এলাকার মানুষজন মনে করেন চাঁদগাও বোয়ালখালী পাঁচলাইশ এর অসমাপ্ত কাজ সম্পাদনের জন্য ব্যারিস্টার কফিলউদ্দিন উপযুক্ত মানুষ। বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, তরুণ ভোটারদের মাঝে ব্যারিস্টার কফিল উদ্দিনের গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি এবং অনেকদূর এগিয়ে সেটা বলা যায়। ১/১১ এর ফখরুদ্দিন সরকার আওয়ামী লীগের নেতাদের যে মিথ্যা মামলা দিয়েছিল তার অনেকগুলোতেই ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন তাদের জন্য আইনি লড়াই করেছেন এবং মিথ্যা মামলাগুলো হাইকোর্ট ডিভিশন থেকে খালাস করে দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বর্তমান সংসদ উপনেতা বেগম সাজেদা চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর। জামাত-শিবির নিবন্ধন নিষিদ্ধকরণের যে মামলা হয়েছিল সেখানেও ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন আইনজীবী হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। চাঁদগাও, বোয়ালখালি এবং পাঁচলাইশে যারা সাংসদ মঈনুদ্দিন খান বাদল সাথে ছিলেন এবং তাকে ভালবাসেন তারা সবাই বাদলের ছায়া হিসেবে এবং সৎ ও প্রজ্ঞাবান মানুষ হিসেবে ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিনকে চায় বলে জানান। নির্বাচনে প্রার্থীতার বিষয়ে ব্যারিস্টার এস. এম. কফিল উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল যাকে নমিনেশন দিবে তিনি তার জন্য কাজ করবেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে সব সময় তিনি মেনে চলেন এবং চলবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ইসি সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম ৮ আসনটি চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ড এবং বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল ইউনিয়ন, পশ্চিম গোমদন্ডী ইউনিয়ন, পূর্ব গোমদন্ডী ইউনিয়ন, শাকপুরা ইউনিয়ন, সারোয়াতলী ইউনিয়ন, পোপাদিয়া ইউনিয়ন, চরনদ্বীপ ইউনিয়ন, আমুচিয়া ইউনিয়ন ও আহল্লা করলডেঙ্গা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। উল্লেখ্য: চট্টগ্রাম ৮ আসনে মোট ভোটার চার লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৮। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯২২ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ জন। এর মধ্যে বোয়ালখালী উপজেলায় ১ লাখ ৬৪ হাজার। কেন্দ্র সংখ্যা ১৮৯ টি। স্বাধীনতাত্তোর ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে সাংসদ হন আওয়ামী লীগের মরহুম এম কফিল উদ্দিন, দ্বিতীয় সংসদে সিরাজুল ইসলাম, তৃতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির মনজুর মোরশেদ খান, চতুর্থ সংসদে বিএনপির সিরাজুল ইসলাম, পঞ্চম সংসদে বিএনপির সিরাজুল ইসলাম, ৬ষ্ঠ সংসদে জাতীয় পার্টির হয়ে মনজুর মোরশেদ খান, ৭ম ও ৮ম সংসদে বিএনপি’র মনজুর মোরশেদ খান। এরপর থেকে টানা নবম, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মহাজোটের শরীক জাসদের মইন উদ্দীন খান বাদল সাংসদ নির্বাচিত হন। মঈন উদ্দীন খান বাদল গত ৭ নভেম্বর ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত ২০০৮ সাল থেকে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদে ২৮৫/চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেছেন।