পরিস্হিতি২৪ডটকম : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে জড়িয়ে যারা অপপ্রচারে লিপ্ত তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতা-কর্মীরা। রোববার (৮ ডিসেম্বর) চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারকে দেওয়া এক স্বারকলিপিতে এ দাবি জানান চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু।
স্বারকলিপিতে টিপু ছাড়াও ছাত্রলীগের গত কমিটির সহ-সভাপতি মনসুর আলম, আব্দুল মালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব পরশ, উপ দফতর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল, উপ সাহিত্য সম্পাদক ইমাম উদ্দিন ফয়সাল, উপ বিজ্ঞান ও তথ্য সম্পাদক রাকিবুল হাসান দিনার, ছাত্রলীগ নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী এবং মো. পারভেজ সই করেছেন।
চবি ছাত্রলীগের প্যাডে দেওয়া এ স্বারকলিপিতে চবি উপাচার্য বরাবর ৪টি দাবি জানানো হয়। শিক্ষককে জড়িয়ে অপপ্রচারে লিপ্তদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি ছাড়া অন্য ৩ দাবি হচ্ছে- রব হলে ঘুমন্ত শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার, পুলিশ ও প্রক্টরের গাড়ি ভাঙচুরকারীদের গ্রেফতার এবং ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার।
সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর নেতৃত্বে চবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেওয়ার পর ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল করেছে সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারীরা। প্রতিবাদী স্লোগান সম্বলিত ব্যানার এবং মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হল থেকে একটি মৌন মিছিল বের করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে সমাবেশ করেন তারা।
‘তাপস স্মৃতি সংসদ’ এর ব্যানারে আয়োজিত এ সমাবেশে সংগঠনটির নেতারা তাপস হত্যার বিচার চেয়ে বলেন, অপরাধীর কোনো দল, পরিবার, গোষ্ঠী নেই। তার পরিচয় সে অপরাধী। কাজেই তাদেরকে সামাজিকভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে বয়কট করতে হবে। আমরা তাপস হত্যার বিচার চাই।
স্বারকলিপির বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে স্বারকলিপি দিয়েছি। দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি।’
কর্মসূচীর বিষয়ে সভাপতি রেজউল হক রুবেল বলেন, এটি কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী নয়, তাপস স্মৃতি সংসদ বেশ কিছু দিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবারও কর্মসূচী পালন করেছে তারা।