পরিস্হিতি২৪ডটকম : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা দিতে চট্টগ্রামে মাঠে নেমেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে নগর ও জেলার সড়ক এবং অলি-গলিতে টহল দিচ্ছেন তারা।
বুধবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রামের সড়কে টহল শুরু করেন। মঙ্গলবার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা মাঠে কাজ করছেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম জানান, ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার অনুসারে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বুধবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা দিতে মাঠে নেমেছেন।
তিনি জানান, উপজেলাগুলোতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ ৪টি থেকে সর্বনিম্ন ২টি দল মাঠে কাজ করবেন। নগরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক দল মাঠে কাজ করবেন। সিটি করপোরেশন এ কাজে সহায়তা দিচ্ছে।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের একান্ত সচিব এম এ হাশেম জানান, বুধবার নগরে সেনাবাহিনীর ৬টি দল মাঠে নেমেছেন। বন্দর, বায়েজিদ, কোতোয়ালী-পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও-বাকলিয়া, খুলশী ও আগ্রাবাদ-ডবলমুরিং এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মাঠে কাজ করছেন।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) চট্টগ্রামে প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীর কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে অনুষ্ঠিত সভা শেষে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, কোনো জায়গায় অধিক লোক যাতে জড়ো হতে না পারে, ৫-৭ জনের বেশি লোক যাতে জড়ো না হয় এবং জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চলাফেরা করে- সেটা নিশ্চিত করবে সেনাবাহিনী।
তিনি আরও জানান, হোম কোয়ারেন্টিনে যারা আছে, সেখানে অনেকেই কোয়ারেন্টিন মানছে না। আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দিয়েছি অনেককে। এরপরেও কেউ কেউ বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সব প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীকে সরকার মাঠে নামিয়েছে। এখানেও (চট্টগ্রামে) সেনাবাহিনী সেটা করবে। পাশাপাশি সিভিল প্রশাসনকে তারা সবধরনের সহায়তা দেবে।
গত সোমবার বিকেলে ঢাকায় আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মঙ্গলবার থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে সেনাবাহিনী স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তায় নিয়োজিত হবে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী জেলা ও বিভাগীয় এলাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সুত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম