পরিস্হিতি২৪ডটকম : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, চট্টগ্রামের প্রাচীন ইতিহাস গৌরব ও সম্মানের। সমগ্র পৃথিবীতে চট্টগ্রাম থেকে সূচিত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কথা সবার জানা। ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে চট্টগ্রামের সন্তানরাই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদেদ্দার ও হাবিলদার রজব আলীর জীবনদানের কথা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে এই চট্টগ্রামের মানুষ ভূমিকা রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন ও লালদিঘির মাঠ এবং আওয়ামী রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ছিল এই চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চট্টগ্রাম এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, প্রাচীন এই চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারলে জাতি আরও সমৃদ্ধ হবে। গতকাল (১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ শুক্রবার) সকালে আন্দরকিল্লাস্থ মাননীয় প্রাক্তন মেয়রের বাসভবনে ইতিহাসবেত্তা ও চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র (সিএইচআরসি)-এর সভাপতি সোহেল মো. ফখরুদ-দীন প্রণীত “চট্টগ্রাম জেলা মহানগরের ইতিহাস ও মনীষী” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন কালে আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দিন উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদের সভাপতি, বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সদস্য মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, মোহাম্মদ নাজমুল হক শামীম প্রমুখ। উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম জেলা মহানগরের ইতিহাস ও মনীষী বইটিতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম জেলা, চট্টগ্রাম মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভার নামকরণের ইতিহাস, প্রাচীন সময়ে শাসনব্যবস্থা, সভ্যতার ইতিহাস, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক, রাজনীতি, শিক্ষা, ধর্মীয় চর্চা, ব্যবসা-বাণিজ্যের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, মোগল, সুলতানী, মগ, আরকানী আমলের ইতিহাস, এই অঞ্চলের প্রাচীন স্থাপনাসহ অনেক অজানা বিষয় লেখক তুলে ধরেছেন বইটিতে। এই বৃহৎ এলাকার মানুষ মনীষীর জীবনকর্মও তুলে ধরেছেন। ৬৬০ পৃষ্ঠার ১০০ গ্রাম অপসেট কাগজে ছাপা, রঙিন প্রচ্ছদ ও বোর্ড বাইন্ডিং করা মূল্যবান বইটি আগস্ট ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়। এই বইটিসহ লেখক সোহেল ফখরুদ-দীন আরও ৫৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি