পরিস্হিতি২৪ডটকম/গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল পল্লিতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চার্জশিটের বিরুদ্ধে বাদীর নারাজি পিটিশনের পূর্ণশুনানির জন্য ২৩ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পার্থ ভদ্র শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে, গত ৪ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী থমাস হেমব্রন চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। মামলার তদন্তে পিবিআই হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল ১১ আসামিকে বাদ ও ক্রটিপূর্ণ চার্জশিট আদালতে দাখিল করায় তা প্রত্যাখ্যান করে বাদী নারাজি পিটিশন দাখিল করেন।
বাদীর আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘সাঁওতাল পল্লিতে হামলার ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামিদের বাদ এবং ঘটনার তথ্য-প্রমাণ থাকলেও তা আড়াল করে অনিয়মের মাধ্যমে পিবিআই’র দেওয়া চার্জশিটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি পিটিশন দেওয়া হয়। এই পিটিশনের শুনানিতে আমরা তথ্য-উপাত্ত, প্রমাণ এবং নানা যুক্তিতর্ক আদালতে উপস্থাপন করেছি। দীর্ঘসময় শুনানি শেষে বিচারক আগামী ২৩ ডিসেম্বর পূর্ণশুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন। আমরা আশা করছি শুনানিতে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেবেন আদালত।’
সাঁওতাল পল্লীতে হামলা মামলায় ৯০ জনকে অভিযুক্ত করে গত ২৮ জুলাই পিবিআই গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল হাই সরকার গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ-শ্রমিক ও সাঁওতালদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে তিন সাঁওতাল নিহত ও পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়। এরপর আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সাঁওতালদের বসতি। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ও সাঁওতালদের পক্ষ থেকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়।