পরিস্হিতি২৪ডটকম/(গাইবান্ধা প্রতিনিধি): পেঁয়াজের মূল্য ঊর্ধ্বগতি রোধে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তারা বলেছেন, দু’একদিনের মধ্য পেঁয়াজের বড় চালান দেশে আসছে। তখন বাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক হয়ে আসবে। পেঁয়াজ নিয়ে আতঙ্কিত হবার কোনও কারণ নেই, পেঁয়াজের দাম দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে আসবে। কিন্তু ঠিক তখনই দেখা গেছে গাইবান্ধাসহ আশেপাশের হাট-বাজারগুলোতে লাগামহীনভাবে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। অব্যাহত মুল্যবৃদ্ধিতে মানুষদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাওয়ায় পেঁয়াজের ঝাঁজে অস্থির হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। ফলে বাজরে এসে পেঁয়াজের দামে উদ্বিগ্ন হতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা দামে। অথচ এক সপ্তাহ আগে যা বিক্রি হত ৬০-৬৫ টাকা দরে। পেঁয়াজ কিনতে এসে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে সাধারণ ক্রেতারা। সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষরা। দু-বেলা আয় করে খেঁটে খাওয়া মানুষগুলো। দিন দিন পেঁয়াজের বাজার হু হু করে বাড়ায় চাহিদার চেয়ে কিনতে হচ্ছে অনেক কম পরিমানে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, হাট-বাজারগুলোতে প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় আড়তদাররা ঘরে পেঁয়াজ মজুদ রেখে বাজারে সংকট দেখাচ্ছে। যার ফলে পেঁয়াজের দামের এই উর্ধ্বগতি।
গোবিন্দগঞ্জ কাঁচা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা এক ক্রেতা পরিস্থিতি ২৪ডট কমের এক প্রতিবেদকে জানান, ব্যবসায়ীরা একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে পেঁয়াজ সংকট সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে শীঘ্রই ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দরকার। খাদ্য চাহিদা অনুযায়ী ১ কেজি করে পেঁয়াজ কিনে রাখতাম। বর্তমানে প্রতি কেজি ১২৫ টাকা দাম হওয়া ১ পোয়া কিনতে বাধ্য হলাম। তাই পেঁয়াজের ঝাঁজে বাজারমুখী হতে চাচ্ছেন না নিম্ন আয়ের মানুষরা।
বাজারের রাস্তার পাশে খুচরা বিক্রেতা নাছির উদ্দিন পরিস্থিতি ২৪ডট কমের প্রতিবেদকে জানান, ভারত থেকে এলসির পেঁয়াজ না আসায় এবং দেশি পেঁয়াজ না থাকায় দাম বেড়েছে অনেকটাই।
গাইবান্ধা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী জানান, আমরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছি। ব্যবসায়ীরা যাতে মজুদ রাখতে না পারে এবং অতিরিক্ত দামে বিক্রি করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে।