বাংলাদেশ, , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

গণঅধিকার ফোরামের মানববন্ধনে বক্তারা : কর্ণফুলী ও হালদা নদীল দূষণরোধ ও অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে নদীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে

  প্রকাশ : ২০২০-০১-২৫ ১৮:০৫:৩১  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : গণ-অধিকার ফোরাম চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ-মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে আজ ২৫ জানুয়ারি ২০২০ইং শনিবার সকাল ১০.৩০টায় জামালখানস্থ প্রেসক্লাব চত্বরে অর্থনীতির প্রবেশদ্বার কর্ণফুলী নদী, প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীকে যৌথভাবে জাতীয় নদী ঘোষণার দাবি ও দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে মানববন্ধন সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি আবু মোহাম্মদ হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব রোটারিয়ান মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও রফিকুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় সকাল ১০.৩০ থেকে ১২.৩০ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ.গ.অ ফোরামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি তার বক্তব্য বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দর এই কর্ণফুলীর তীরে অবস্থিত। আর রাষ্ট্রর সিংহভাগ আয়ের যোগান দেয় বন্দরের অর্জিত আয় থেকে। এই কর্ণফুলী আজ নানানভাবে বড়ই অবহেলিত আর দিন দিন দূষণের শিকারের ফলে মৃত প্রায়, এটা আমাদের জাতির জন্য উদ্বেগের বিষয়। প্রধান বক্তা চ.গ.অ. ফোরামের মহাসচিব বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এম.এ হাশেম রাজু বলেন বিভিন্নভাবে দিনে পাঁচ হাজার টন পয়ো ও গৃহস্থালির বর্জ্য পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। পাশাপাশি রয়েছে শিল্প ও চিকিৎসা বর্জ্য। এর বাইরে নদীতে চলাচলকারী নৌযানগুলোর পোড়া তেলে কর্ণফুলীর দূষণ চরমে পৌঁছেছে এবং কর্ণফুলী পেপার মিল (কেপিএম), সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, সিইউএফএলের মতো সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানই কর্ণফুলী নদী দূষণের জন্য মূলত দায়ী। ওয়াসার কোনো সুয়ারেজ সিস্টেম না থাকায় সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কর্ণফুলী গবেষক প্রফেসর ড. মো. ইদ্রিস আলী বলেন নগরের বর্জ্যমিশ্রিত পানির পাশাপাশি পলিথিন ও নানা অপচনশীল প্লাস্টিক সামগ্রীও সরাসরি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে, যার ফলে কর্ণফুলীর পানির দূষণের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে এবং শুষ্ক মৌসুমে পরীায় দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) ৪ দশমিক ৮ থেকে ৫ দশমিক ৫ এর মধ্যে থাকে যা উদ্বেগজনক। আর ডিও ৪ এর নিচে নেমে এলে জলজ প্রাণী বাঁচে না এবং পানিতে ডিওয়ের মান ৪ এর নিচে নামলে তা পানিতে বিদ্যমান জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। পরিবেশের দূষণ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না দেশের একমাত্র মিঠা পানির কার্প জাতীয় মা-মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র রুপালি সম্পদের খনি খ্যাত ঐতিহ্যবাহী হালদা নদী। মাছের অভয়ারণ্য হালদা নদী তার চিরচেনা রূপ প্রতিনিয়তই হারাচ্ছে। কারখানার বর্জ্য, পয়োবর্জ্য ও পোলট্রি ফার্মের বর্জ্য নিক্ষেপ, নদীর তীরবর্তী চাষাবাদের জমিতে কীটনাশক ব্যবহারসহ নানা কারণে দূষিত হচ্ছে হালদা নদী। যা আমাদের জন্য অশনি সংকেত। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন- প্রবীন সাংবাদিক জাহেদুল করিম কচি, পেশাজীবি নেতা ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, এডভোকেট তারেক আহমেদ, এডভোকেট ফৌজুল আমিন, চ.গ.অ. ফোরামের ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ মেম্বার, ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট সেলিম উদ্দিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট জহুরুল আলম, বিশিষ্ট সংগঠক পরিবেশবিদ আলমগীর নুর, যুগ্মমহাসচিব জাফর আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম, পরিবেশবিদ মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন রাশেদ, সংগঠনের দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ দোহাজারী, উত্তর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট রায়হান উদ্দিন, যোগযোগ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমির হোসেন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল সৈয়দাবাদ, বিশেষ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম মজুমদার মিলন, সহকারি মহাসচিব মোহাম্মদ জানে আলম, উপদেষ্টা মোহাম্মদ লেয়াকত আলী, সহকারী মহাসচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মোছাম্মৎ জোছনা আকতার জুনু, সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নার্গিস আকতার, সহকারি মহাসচিব এস.এম. জাহিদুল ইসলাম, সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ওসমান গণি, সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদিকা সৈয়দা সমরিতা আক্তার উর্মি, কেন্দ্রীয় সদস্য ফাতেমা আকতার প্রমূখ। অর্থনীতির প্রবশেদ্বার কর্ণফুলী নদী প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদী যৌথভাবে জাতীয় নদী ঘোষণার দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত গণঅধিকার ফোরামের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাসব্যাপী লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ, উঠান সভা ইত্যাদি চলবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি



ফেইসবুকে আমরা