বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী চট্টগ্রামের ইতিহাসে বিশেষ স্মরণীয় ব্যক্তি : ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বক্তারা

  প্রকাশ : ২০১৯-০৪-১৩ ২১:০৯:৪৯  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে চট্টগ্রামের শহীদ মিনার সংলগ্ন ইসলামাবাদ অডিটরিয়ামে অবিভক্ত ভারতের বঙ্গীয় আইন সভার সদস্য, চট্টগ্রামের কৃতিপুরুষ খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ইতিহাস গবেষক সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসেন, বিশিষ্ট এ কে এম আবু ইউসুফ, অধ্যাপক দিদারুল আলম চৌধুরী, অধ্য হাকিম শিহাব উদ্দিন চৌধুরী, প্রবীণ শিক্ষাবিদ জীতেন্দ্র লাল বড়ুয়া, কক্সবাজার ইতিহাস চর্চা পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউনুছ কুতুবী, কবি নাছির বিন ইব্রাহিম, প্রাবন্ধিক এস,এম, ওসমান, সাংবাদিক অনুতোষ দত্ত বাবু, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রবীণ প্রধান শিক্ষক নুরুল আলম প্রমুখ। সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। সভায় বক্তারা বলেছেন, খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী চট্টগ্রামের ইতিহাসে বিশেষ স্মরণীয় ব্যক্তি। তিনি চট্টগ্রামের কৃতিসন্তান ও আলোকিত মনীষী। ন্যায় ও সততার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী। সভায় পঠিত প্রবন্ধে বলা হয়, খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী ১৯২০ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত একাধারে ৩০ বছর বাঁশখালীর বৈলছড়ী-কাথারিয়া ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯২৯ সালের জুন মাসে প্রথমবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১৩টি বৃহৎ থানার এমএলসি হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়ী হন। আট বছর এ পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। ১৯৪৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগের ও বৃহত্তর সিলেটের জমিদারদের প্রতিনিধি হিসেবে বিপুল ভোটে এমএলএ নির্বাচিত হন। বেঙ্গল অ্যাসেম্বলিতে প্রতিটি অধিবেশনে তিনি বক্তব্য উপস্থাপন করেন। খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিা চালু করার আইন পাস, শিাকর স্থগিতকরণ, স্কুল-কলেজে সরকারি অনুদান ও সাহায্য প্রদান, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা, ডাকঘর, বাজার, ডাক্তারখানা স্থাপন প্রভৃতি তারই প্রচেষ্টার ফসল। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে সর্বপ্রথম হজ আদায় করেন তিনি। ভারতীয় হজ কমিটির একাধিকবার সদস্য ছিলেন। ১৯৩৫ সালে সরকারের হজ প্রতিনিধি তথা আমিরুল হজ হিসেবে মুম্বাই থেকে হজে গমন করেছিলেন। ঐ সময় সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা, বাদশাহ আবদুল আজিজ হজ উপলে মক্কা শরিফে ছিলেন। খান বাহাদুর বদি আহমদ চৌধুরী ভারতবর্ষসহ বিশ্বের হজযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে একাধিকবার তার সাথে সাাৎ করেন। পরবর্তী বছর ব্রিটিশ সরকার জনসেবার স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ‘খান বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ইন্ডিয়া রোড বোর্ড কমিটি, আসাম-বেঙ্গল রেলওয়ে অ্যাডভাইজরি কমিটি, প্রদেশের বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটি, অ্যাগ্রিকালচারাল বোর্ড, ডিস্ট্রিক্ট বোর্ড, স্কুল বোর্ড, ইন্ডাস্ট্রি বোর্ড, চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল কমিটিসহ বহু প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ছিলেন। চট্টগ্রাম ও কলকাতার নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডাইরেক্টর ছিলেন।



ফেইসবুকে আমরা