পরিস্হিতি২৪ডটকম : চট্টগ্রামের প্রাণ কর্ণফুলী নদী। এই নদী এখন শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্যের দ্বারা মারাত্মক দূষের শিকার। নদীর পাড় ও আশেপাশে গড়ে উঠা অসংখ্য অবৈধ বসতি এবং শিল্পকারখানার বর্জ্য নদীতে পড়ায় কর্ণফুলীর পানি মারাত্মক দূষিত হয়ে পড়ছে। শিল্প বর্জ্যরে পানি দূষণের কারণে এই নদীর পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার পথে। দূষণের হাত থেকে কর্ণফুলী নদীকে রা করা না গেলে, ভবিষ্যতে ঢাকার বুড়িগঙ্গার ভাগ্য বরণ করতে হবে এই নদীকে এমনটি বলা যায়। বক্তারা আরো বলেছেন, চট্টগ্রাম একটি প্রাচীন নগরী। ভারতীয় উপ-মহাদেশের ইতিহাসে এই চট্টগ্রামের নাম কালজয়ী। বাংলাদেশের নদ-নদীর মধ্যে কর্ণফুলী নদী ঐতিহ্যের ঠিকানা বহন করে। কর্ণফুলী নদীকে সমগ্র বিশ্ববাসী চেনে এবং জানেন। পরিব্রাজকদের লেখনীর ইতিহাসে কর্ণফুলী একটি বিখ্যাত নাম। কর্ণফুলীকে বাঁচিয়ে রাখলে চট্টগ্রাম বাঁচবে আর চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। আসুন আমরা নিজেদের অবস্থান থেকে সুন্দর পৃথিবীর দেশ ও পরিবেশকে রার জন্য পবিত্র শপথ গ্রহণ করি। বাংলাদেশ পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি (বাপউস) এর আয়োজনে ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাশফুল রেস্টুরেণ্ট অডিটরিয়ামে “কর্ণফুলী নদী দূষণ রোধে করণীয়” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের চেয়ারম্যান এ, কে এম, আবু ইউসুফের সভাপতিত্বে এই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টসের জেনারেল ম্যানেজার আলহাজ্ব এম, এ, সবুর। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম।সেমিনার উদ্ভোধন করেন হাজী মোস্তফা বেগম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. হোসেন মুরাদ। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইতিহাস গবেষক সোহেল মুহাম্মদ ফখরুদ-দীন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লাবিব মার্কেটিং কোম্পানীর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাখাওয়াত হোসেন, বিজয় ৭১ এর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ নুরুল আলম, সাংবাদিক নুরুল কবির, লায়ন মো. আবু ছালেহ, এস.ডি জীবন, লায়ন ওসমান সরোয়ার, মনসুরুল হাসান জিয়া, প্রবীণ সাংবাদিক মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এতে উপস্থিত ছিলেন এস.এম. ওসমান, শিক্ষাবিদ আমজাদ হোসেন, অনুতোষ দত্ত বাবু, কবি নাছির বিন ইব্রাহীম, তৌহিদুর রহমান, জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিকু, এসএম শাহনেওয়াজ আলী মির্জা, রোজী চৌধুরী, সমীর কান্তি দাশ, সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, মো. ওবায়দুল হক মনি, সমীরণ পাল, মাওলানা আনোয়ার হোসেন, শিক্ষক রহিম উদ্দিন প্রমূখ।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি