পরিস্হিতি২৪ডটকম : নগরীর টাইগার পাসস্হ সিটি কর্কপোরেশনের কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ আটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির সাথে সিটি মেয়রের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সমিতির ছাড়পত্র ছাড়া কোন অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিককে ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হবে না। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ আটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির সভাপতি শচী নন্দন গোস্বামী।মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সৈয়দ চৌধুরী। তিনি বলেন, চসিক আওতাধীন এলাকায় বিশেষ করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু এলাকায় কর্ণফুলীর পাড়ে অটোমোবাইলস ওয়ার্কশপ টার্মিনাল নির্মাণ বা আলাদা জোন প্রতিষ্ঠা, ১৯৯০ সনে সরকারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত চুক্তি অনুযায়ী অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে প্রতিটি ওয়ার্কশপের অনুকূলে ৫ কাঠা করে জমি বরাদ্দ দেয়া, বিকল্প জায়গা বরাদ্দ ব্যতীত আটোমোবাইল ওয়ার্কশপ উচ্ছেদ বন্ধ করা, ট্রেড লাইসেন্স বিহীন ওয়ার্কশপগুলো বন্ধ করা, বৈধ আটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিকদের হয়রানি না করাসহ ১১ দফা দাবি সিটি মেয়রকে অবহিত করেন সাধারণ সম্পাদক।তিনি বলেন, সারা দেশে প্রায় সহস্রাধিক ওয়ার্কশপে ৫০-৬০ হাজার লোক কাজ করছে। তাদের ভাগ্য উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। দুঃখের বিষয় এত বিশাল শ্রমিকদের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করা এই মালিক সমিতির কোন নিজস্ব জায়গা নেই। এই জন্য আমাদের দরকার আলাদা শিল্পাঞ্চল।বাংলাদেশ আটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির যৌক্তিক দাবি দাওয়া বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে সিটি মেয়র বলেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষের নানা সমস্যা আছে। সমস্যা বা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ব্যবসা যার, পুঁজিও তাকে যোগাতে হবে। সরকার ঢাকার সাভারে চামড়া শিল্পজোন গড়ে তুলেছে। তেত্রিশ হাজার একর বিশাল জমিতে মিরসরাইয়ে শিল্পজোন গড়ে তোলা হচ্ছে। অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির জন্য এ ধরনের আলাদা জোন বা শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা যায় কিনা ভেবে দেখা এবং এ দাবি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে উত্থাপন করার জন্য সমিতির নেতৃবৃন্দকে পরামর্শ দেন মেয়র।এ ব্যাপারে আইনগত সমস্যা থাকলে তাও দেখা দরকার বলে মেয়র মন্তব্য করেন। মেয়র আরও বলেন, সরকার ব্যবসা করে না। সরকার চলে জনগণের ট্যাক্সের টাকায়। তাই প্রতিটি ব্যবসায়ীকে যৌক্তিক ট্যাক্স দেয়ার আহবান জানান সিটি মেয়র।বাংলাদেশ আটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির সভাপতি শচী নন্দন গোস্বামী বলেন, ওয়ার্কশপ মালিকরা চায় আলাদা শিল্পজোন। শিল্পজোন গড়তে সরকারকে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান আমরা দেবো। ওয়ার্কশপ মালিকদের কোন স্থায়ী ঠিকানা নাই। গ্যারেজ ভূমির মালিক কর্তৃক আমরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছি। কাস্টম কর্তৃক গ্যারেজ মালিকদের ভাড়ার উপর ট্যাক্স আদায় করা হয়, যা সম্পুর্ণ অযৌক্তিক।এ সময় শামসুল আলম, আবু বকর, মো. ইউসুফ, ধনা বড়ুয়া, জসিম উদ্দিন, নিতাই দেবনাথ, আবু ফয়েজ, মো. জামশেদ, ছাগির আহমদ, আবু আহমদ, মো. নাছির, মো. ইয়াছির, মোবারক হোসেন, মো. ইব্রাহিম, জাহাঙ্গীর আলম, মো. ইলিয়াছ, শহিদুল আলম, আবদুল মালেক, তৌফিকুর রহমান, প্রভাত কুমার দাশ, আবদুস সবুর, নুর মোহাম্মদ, সুরেশ শর্মা, আবদুর রহিম, নারায়ন মল্লিক, মো. ওসমান, মো. বেলাল,আবদুল গণি ও শাহজাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।