পরিস্হিতি২৪ডটকম : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আলাওল দিঘি এলাকায় আলোচিত গৃহবধূ ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত তিন যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১৭ মে রাতে জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশ করে শিশুসন্তানের গলায় ছুরি ধরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ফতেহপুর গ্রামের তিন যুবক। গ্রামের মধ্যেই এমন গণধর্ষণের ঘটনা বেশ আলোড়ন তুলেছিল সে সময়।
ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. মোতাহির আলী এই রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে জানিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কর্তব্যরত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম এ নাসের।
দণ্ডিতরা হলেন- হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মহিউদ্দিন (২৮), মো. সোহেল (৩০)ও মো. ফয়েজ আহম্মদ (৩০)। আসামিদের তিনজনই বর্তমানে কারাগারে আছেন।
আইনজীবী এম এ নাসের জানান, ছয়জন সাক্ষীর বর্ণনা ও আসামিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামিদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় এ সাজা দেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা দেয়ারও আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৭ মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের আলাওল দিঘি এলাকায় জোরপূর্বক এক গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে ওই গ্রামের তিন যুবক। সে সময় শিশুসন্তানের গলায় ছুরি ধরে তিনজন মিলে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
ওই ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে পরদিন হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩ জুন ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় আসামি মো. সোহেল। ওই বছরের ১৭ নভেম্বর পুলিশ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। শুনানি চলাকালে ছয়জন সাক্ষীর দেয়া সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আজ এই রায় দিয়েছেন আদালত।