বাংলাদেশ, , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

বয়সের ৭২ বছরের ৬০ বছরই কেটেছে রাজনীতিতে : প্রধানমন্ত্রী

  প্রকাশ : ২০১৯-০৪-২৭ ১৮:৪৮:১২  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : সম্প্রতি ব্রুনেই সফর শেষে সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমার ৭২ বছর বয়সের ৬০ বছরই কেটেছে রাজনীতিতে। স্কুল থেকে রাজনীতি শুরু করেছি এখনো অব্যাহত আছে। রাজনীতিতে কে কী করেছে অনেক ঘটনা চোখে দেখেছি।’
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে কে আসবেন তা দল ঠিক করবে। আমি একসময় অবসরে চলে যাব। তখন দলে নতুন নেতৃত্ব আসবে। তবে কে নেতৃত্বে আসবেন তা ঠিক করবে দল। সেটা আমি ঠিক করব না। গঠনতন্ত্র আমাকে সে ক্ষমতা দেয়নি।’

আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজানোর ব্যাপারে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূল থেকে দলকে সম্মেলনের মাধ্যমেই ঢেলে সাজাতে হবে। একেকটি সম্মেলন আয়োজন করতে অনেক টাকা খরচ হয়। আয়োজনের ব্যাপার আছে। সামনে সম্মেলন হবে। কখনও কেউ আসে, কেউ চলে যায়, রাজনীতিতে এটা হয়।’

আরেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাইরে থেকে আওয়ামী লীগে এসে কারা সুবিধা লুটছে বা অনুপ্রবেশ ঘটেছে এর একটা তালিকা যদি আপনারা দিতে পারেন তাহলে ভালো হয়। আর মন্ত্রিসভায় যারা আছেন তারা যদি কেউ দুর্নীতি করে তাহলে তথ্য-প্রমাণসহ আমাকে দেবেন, আমি ব্যবস্থা নেব। ফাঁকা কথা বলে কোনো কাজ হবে না। একুশ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল।’ তিনি প্রশ্নকারী সাংবাদিককে উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতাদের ছেলে-মেয়েদের কি ভালো থাকার অধিকার নেই?’

প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা একটু চোখ মেলে দেখেন। ২০০৮ সালের আগে বাংলাদেশের কী অবস্থা ছিল। আর এখন কোন অবস্থায় আছে। সূচকগুলো দেখুন। গ্রামের মানুষ কেমন আছে। অবশ্য আমরা জিয়াউর রহমানের মতো এলিট শ্রেণি তৈরি করতে পারিনি। কারণ আওয়ামী লীগের নীতি সেটা না। আওয়ামী লীগ শহরের এবং গ্রামের উন্নয়ন সমানভাবে করে। একবার চিন্তা করে দেখুন কোন জায়গার বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে গেছি। আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশ একটা সম্মানজনক অবস্থায় আছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যখনই ভালো অবস্থানে থাকে তখনই কিন্তু আঘাত আসে। আমরা ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করি। আমরা জঙ্গিবাদ পছন্দ করি না। বাংলাদেশের অন্য ধর্মের লোকেরা সবচেয়ে ভালো আছে। সব ধর্মের লোকেরা মিলেমিশে আমরা বসবাস করছি। খ্রিষ্টানদের সম্পর্কে গণমাধ্যমে যা লেখা হয়েছে তা সঠিক নয়। তারা সবচেয়ে বেশি নিরাপদে আছে।’

দলকে ডিজিটাল করা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তৃণমূল থেকে শুরু করে দলের সবকিছু ডাটাবেজ করা হবে। আমি অবসর নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় চলে গেলেও সুইচ টিপে সব তথ্য পাব।’



ফেইসবুকে আমরা