পরিস্হিতি২৪ডটকম : বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বিকল্প বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা ইনভেস্ট কর্প বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক স্বার্থে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ইনভেস্ট কর্পের নির্বাহী চেয়ারম্যান মোহাম্মেদ বিন মাহফুদ আলার্দি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।১৯৮২ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে বাহরাইনভিত্তিক ইনভেস্ট কর্প যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে ১৭৫টি কর্পোরেট বিনিয়োগ করেছে। এই বিনিয়োগের পরিমাণ হচ্ছে আনুমানিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। নিউইয়র্ক সিটি, বাহরাইন, লন্ডন, রিয়াদ, আবুধাবি, দোহা ও সিঙ্গাপুরে এ কোম্পানির অফিস রয়েছে।
মোহাম্মেদ আলার্দি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তার কোম্পানি এই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় বিনিয়োগ করেছে।তিনি বলেন, ‘আমরা এখন এই অঞ্চলে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে বিনিয়োগে খুবই আগ্রহী। বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য বিপুল সম্ভাবনাময় দেশ।’
ইনভেস্ট কর্প নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। একটি বিশাল বাজারের পাশাপাশি এখানে বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সাফল্যের গল্পের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সকল ক্ষেত্রে দেশের উন্নয়ন।
দেশের উন্নয়নে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ এখন তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষের সংখ্যা চিহ্নিত করেছে। তিনি বলেন, ‘এখন আমরা গৃহ ও ভূমি প্রদানের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসনে কাজ করছি।’
শিক্ষা খাতের উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতি বছরের প্রথম দিন দেশব্যাপী প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত ৪০ মিলিয়ন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে বিনামূল্যে প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।