বাংলাদেশ, , বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

আজ দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ দেশের শতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

  প্রকাশ : ২০২২-০৭-০৯ ১৬:২১:১৫  

পরিস্থিতি২৪ডটকম : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। ঈদের জামাত শেষে দেওয়া হয়েছে পশু কোরবানি।  চট্টগ্রামের সাতকানিয়া মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা বহু বছর ধরে দেশের প্রচলিত নিয়মের বাইরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিলিয়ে ঈদ উদযাপন করে আসছেন।

মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীদের দাবি, শুক্রবার (৮ জুলাই) পবিত্র ইয়াউমুল হজ বা ইয়াউমুল আরাফাহ। সে হিসেবে শনিবার চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর শতাধিক গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে । সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা দুইশত বছর আগ থেকে এ নিয়মে ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছেন বলে জানান তারা।

দরবারের সূত্র জানায়, মির্জাখীল দরবার শরীফের খানকাহ মাঠে সকাল সাড়ে নয়টার সময় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় । হজরত শাহ জাহাঁগীর শেখুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর ফখরুল আরেফীন (ক.), হজরত শাহ জাহাঁগীর শমসুল আরেফীন (ক.) এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বর্তমান সাজ্জাদানশীন হজরত শাহ জাহাঁগীর তাজুল আরেফীন (ক.) এর তত্ত্বাবধানে তার জানশীন হজরত ইমামুল আরেফীন ড. মৌলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান নামাজে ইমামতি করেন।

মির্জাখীল দরবার শরীফ সূত্রমতে, সাতকানিয়ার মির্জাখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা, আলীনগর, মাদার্শা, খাগরিয়া, মৈশামুড়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, মনেয়াবাদ, চরতি, সুঁইপুরা, হালুয়াঘোনা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, চরবরমা, কেশুয়া, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারি, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, ডোংরা, শেখেরখীল, ছনুয়া, পুইছড়ি, আনোয়ারার বরুমচড়া, তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, খাসখামা, কাঠাখালী, রায়পুর, গুজরা, লোহাগাড়ার পুঁটিবিলা, কলাউজান, চুনতী এবং সীতাকুন্ডের মাহমুদাবাদ, বারিয়াঢালা, বাঁশবাড়িয়া, সলিমপুর, মহালংকা, ফেনী, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ঢাকা, মুহাম্মদপুর, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, মনোহরদী, মঠখোলা, বেলাব, আব্দুল্লাহনগর, কাপাসিয়া, চাঁদপুর জেলার মতলব, সিলেট, হবিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, মিরশরাই, পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর শতাধিক গ্রামের বহুসংখ্যক অনুসারীরা শনিবার ঈদুল আজহা উদযাপন  করেন।

এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যাংছড়ি, কক্সবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার অনেক গ্রামে থাকা মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা ও শনিবার ঈদুল আজহা উদযাপন  করেন।

ঈদ উদযাপনের বিষয়ে মির্জাখীল দরবার শরীফের মোহাম্মদ মছউদুর রহমান বলেন, ‘আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে বিগত দুই শতাধিক বছর ধরে ইয়াউমুল আরাফাহ বা পবিত্র হজের পরের দিনই ঈদুল আজহা উদযাপন করে আসছি।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ হতে চাঁদের অবস্থান এবং হজ পালনের খবর সচিত্র দেখে তথা এ বছর শায়খ ড. মোহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ঈসার দেওয়া হজের খুতবা সরাসরি পবিত্র আরাফাতের মসজিদে নামিরা থেকে দেখে-শুনেই শনিবার ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে।

 



ফেইসবুকে আমরা