বাংলাদেশ, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

সাতকানিয়ায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নুুরুল আবছার চৌধুরী

  প্রকাশ : ২০১৯-০২-০৭ ১৬:০২:২৬  

( পরিস্হিতি২৪ডটকম /সৈয়দ শিবলী সাদেক কফিল ): চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এবং সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক এবং সাতকানিয়া আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ নুরুল আবছার চৌধুরী আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সাতকানিয়া। গত ২৩ মার্চ ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দল যাকে মনোনীত করেছিলেন তখন তিনিসহ অন্যরা জামায়াত বিএনপি’র সৃষ্ঠ বৈরী পরিবেশের কারনে নির্বাচন করতে এগিয়ে আসেননি, লোহাগাড়াও কেউ দলের মনোনীত প্রার্থী হতে রাজী হননি, তখন তিনি এগিয়ে এসে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ৪৫,৮৪০ ভোট পেয়ে ২য় স্থান অধিকার করেন। উল্ল্যেখ যে, ২০০৯ সালে নির্বাচনে দল থেকে ৫ জন মনোনয়ন পত্র জমা দেন, জামাত থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরও দলের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে কেউ কাউকে ছাড় না দিয়ে নির্বাচন করেন। নেতাদের নির্দেশে জনাব নুরুল আবছার চৌধুরী নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে দলের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করণে অনন্য ভূমিকা পালন করেন।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষাণাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে পত্র-পত্রিকা, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, টুইটারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর অংশ নেয়ার খবর সাতকানিয়ার সর্বস্তরের জনসাধারণ ব্যাপক ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি গত ৪ জানুয়ারি এমপি নদভী সাহেবের নেতৃত্বে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করলে অনেকের আপত্তি সত্বেও দুর্দিনের কর্মী সম্বোধন করে পাশে ছবি তোলার অনুমতি দেন এবং উনারই প্রস্তাবে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় সুবিধাজনক স্থানে জনসভা করতে সম্মত হন। বিগত উপজেলা নির্বাচনের কথা অবহিত করলে পুনঃরায় প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন।
নুরুল আবছার চৌধুরী ১৯৬৬ সালের ২০ জুন মির্জাখীলের চৌধুরী পরিবারে জন্ম গ্রহণ করে ৬ বৎসর বয়সে পিতা-মাতা হারান। মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় ৮ম শ্রেণীতে ১ম স্থান অধিকার করেন। সাতকানিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ১৯৮২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন। সাতকানিয়া সরকারী কলেজে অধ্যয়নকালে ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সাতকানিয়া সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালনকালে মফস্বলে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংঘটিত করার লক্ষ্যে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করেন। আন্দোলন ও সংগঠন গড়ে তোলার ধারাবাহিকতায় সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও পরবর্তীতে উপজেলা সমাজকল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সকল ছাত্র সংগঠনগুলোকে সংগঠিত করে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠনের মধ্য দিয়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে অনার্সসহ মাষ্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। পথ পরিক্রমায় (১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ ইং পর্যন্ত) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ থেকে ২০১৩ ইং পর্যন্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৮৯ ইং সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ৫ মাস ১৭ দিন কারাবরণ এবং ১৯৯৩ ইং সালে বোয়ালখালী থানার ওসি বাদি হয়ে করা মামলার প্রধান আসামী হিসেবে হাজত বাস করেন।
১/১১ এর সময় (২০০৭-২০০৮) রাজনীতি যখন নিষিদ্ধ ছিল তখন তিনি মাননীয় নেত্রীর মুক্তির দাবীতে সামাজিক আন্দোলন: যেমন গাছের চারা, শীতার্তদের শীত বস্ত্র, বন্যার্তদের চাউল, কৃতী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণসহ বিভিন্নভাবে ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিনের সরকার পতনে আপোষহীন ভূমিকা পালন। চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড বাণিজ্য মেলার মাঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২৮ মার্চ ২০১২ইং মহাসমাবেশের উপযোগী করণ ও সফল করণে তিনি মুখ্য দায়িত্ব পালন করেন।
সতের হাজার গাছের চারা বিএনপি জামায়াত আহুত ২৭ মার্চ ২০১৩ ইং হরতালের দিন আগুনে পুড়ে ফেলে তাঁর বাগানের। সাতকানিয়া থানার জিডি নং-১২০৪/১৩, তাং ২৮-০৩-২০১৩ ইং। উপজেলা নিবার্চনের পরে ৫০ হাজার গাছের চারা ২২ এপ্রিল ২০১৪ ইং দুর্বৃত্তরা আগুনে পুড়ে ফেলে সাতকানিয়া থানার জিডি নং-১৫১৫, তাং ২৪-০৪-২০১৪ ইং।
একজন সৎ, নির্লোভ, নিরহংকার পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে সর্ব মহলে পরিচিত। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে নিজ দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশু-কিশোর, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সমবায়-সংগঠনের সভাপতি দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, প্রবল শীত ইত্যাদি প্রাকৃতিক দূর্যোগকালে সর্বদা অসহায় মানুষের পাশে থাকতে চেষ্টা করেন। ২০০৮ সালে পরিবেশ-সামাজিক বনায়ন, ২০১০ সালে সমাজসেবায় অনন্য ভূমিকার জন্য মাননীয় প্রধান বিচারপতির হাত থেকে শ্রেষ্ঠ সমাজ সেবক পুরস্কারে ভূষিত হন। একই সাথে খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান থেকে একুশে পদকে ভূষিত হন। তিনি একজন শিক্ষানুরাগীও বটে। প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে সাতকানিয়া উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী নির্বাচিত হন।
বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষের সমস্যা চিহ্নিত করে তা দূরীকরণে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। নিজ সম্পাদনা ও মালিকানায় “চাঁটগার সংবাদ” নামক একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করে আসছেন। যেখানে তিঁনি ধারাবাহিকভাবে গঠনমূলক ও প্রগতিশীল সংবাদ প্রকাশ করে তার বুদ্ধিদীপ্ত দক্ষতা প্রদর্শন করে যাচ্ছেন।
তিনি নিজ ইউনিয়ন সোনাকানিয়ার গারাংগিয়ায় ২ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকায় আলুরঘাটে ডলুখালের উপর এবং মির্জাখীলে হাতিয়ার খালের উপর ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকায় ব্রীজ, রাস্তা, কালভার্ট নির্মাণসহ, এলাকার উন্নয়নে অভুতপূর্ব ভূমিকা পালন করনে। প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি নির্বাচিত হওয়া পর উনার সাথে থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করনে। বিদেশ-শহর থেকে সাতকানিয়ায় যাওয়া নিরহ মানুষকে জঙ্গী অর্থ দাতা ও মদদ দাতার নামে হয়রানি করলে তা প্রতিরোধে অনন্য ভূমিকা পালন করেন। বহিরাগত উচ্ছেদ করে সাতকানিয়া-বাঁশখালী সীমান্তের পাহাড় নিজ এলাকার কৃষক ও দুস্থদের ন্যায্য ভোগ দখল নিশ্চিত করণে অনন্য ভূমিকার জন্য সর্ব মহলে প্রশংসিত।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক, ডাকাতি প্রতিরোধ, সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, নারী নির্যাতন-বাল্য বিবাহ রোধ, নারী জাগরণ-অধিকার ও ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছেন। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ সাতকানিয়া আদর্শ মহিলা কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি হয়ে মাননীয় সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী’র পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজকে ডিগ্রী পর্যায়ে অধিভূক্তকরণে ঐকান্তিক কর্মপ্রচেষ্টার সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং নিজ গ্রামে তাঁকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। কলেজে আড়াই কোটি ব্যয়ে চারতল বিশিষ্ট ভবন ও শহীদ মিনার নির্মাণ করেন, এবং কলেজের জন্য নতুন জায়গা ক্রয়, মাঠ ভরাটসহ কলেজের অভুতপূর্ব উন্নয়ন তাঁর নেতৃত্বে সাধিক হয়। ১৯৯৬ ও ২০১৭ সালে তিনি পবিত্র ওমরাহ এবং ১৯৯৮ সালে পবিত্র হজ্বব্রত পালন করেন।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের দলের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয় করণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন।
সর্বশেষ গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে জাতীয় সংসদ নিবার্চনে প্রফেসর ডঃ আবু রেজা নদভীর প্রস্তাবকারী হিসাবে বিজয়ে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে উপস্থিত হয়ে অনন্য ভূমিকা পালন করেন।
সাতকানিয়া উপজেলা একটি মডেল ডিজিটাল উপজেলায় হিসেবে রুপান্তর করার জন্য তার মত একজন সৎ, নির্লোভ, নিরহংকার পরিচ্ছন্ন অভিভাবক খুবই দরকার। সাতকানিয়ার সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রত্যাশা নুরুল আবছার চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় প্রতীকে সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদন্দিতা করবেন।



ফেইসবুকে আমরা