বাংলাদেশ, , বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

সুফিবাদ চর্চায় পীরে তরিকত শাহ সুফি হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আলী মমতাজী (মু.জি.আ.)

  প্রকাশ : ২০১৯-১২-২৩ ১৫:০৭:১৭  

খোদার প্রেমে সুফিবাদ চর্চায় শাহ সুফি দরবার শরীফ ও পীরে তরিকত শাহ সুফি হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আলী মমতাজী(মু. জি.আ.) : সোহেল মোহাম্মদ ফখরুদ-দীন

পরিস্হিতি২৪ডটকম : মহান আল্লাহ এ জগতের মানবসন্তানকে খোদার নৈকট্য লাভের জন্য, আখেরাতে সুখ এবং শান্তির জন্য পৃথিবিকে ক্ষণস্থায়ী ভাবে তৈরি করেছেন। এই পৃথিবীতে আল্লাহর বান্দাদেরকে ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে হবে। পবিত্র কুরআন শরীফ এবং হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবন আদর্শ ও পবিত্র হাদীস শরীফ চর্চার মাধ্যমে ইসলামের শরীয়ত তরিকত মারফত হাকিকত এগুলো মেনে চলে মানব সমাজের প্রতিটি মানুষকে খোদার ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকতে হবে।উল্লেখিত পথে চলতে হলে জগতে একজন মুর্শিদের প্রয়োজন,যিনি মুর্শিদ রুপে আমাদের শিক্ষাদিয়ে আদর্শবান মানুষ রুপে তৈরি করবেন।তেমনি একজন মহান মুর্শিদ- পথপ্রদর্শক হলেন পীরে তরিকত হযরত শাহসুফি মাওলানা মুহাম্মদ আলী ছাহেব ( মু. জি. আ.) । হযরত মুহাম্মদ আলী ছাহেব চট্টগ্রাম জেলার ঐতিহ্যবাহী পুটিয়া থানার বর্তমান চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের এলাহাবাদে সম্ভ্রান্ত মুসলিম আদর্শবাহী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন জগৎবিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, দার্শনিক, সত্যের পথ প্রদর্শক মুফতি হযরত আলহাজ শাহসুফি মুফতি মাওলানা মমতাজ আলী জাহাঁগিরি (রাহঃ) তাঁর পিতা ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত সাধক পুরুষ,জাহাঁগিরিয়া তরিকার সফলপ্রচারক, সৎপথের প্রদর্শক, হাজার হাজার মুসলমান নর-নারীকে মহান আল্লাহর পথে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশিত পথে চলার জন্য যিনি মহান শিক্ষকের গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন – হযরত শাহ সুফি সৈয়দ মাওলানা মোহাম্মদ আমজাদ আলী নুরুল হুদা জাহাঁগিরি ( রাহঃ)। পিতা ও দাদা হুজুরের আদর্শকে নীতি ও কুরআন, হাদীসের আলোকে অন্ধকারে গোমরাহী মানবকে মুক্তির জন্য প্রতিটি মুহুর্তে হযরত পীর ছাহেব কেবলা কাজ করছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও বহি বিশ্বে হযরত মাওলানা মুহাম্মদ আলী জাহাঙ্গীরি ছাহেব পবিত্র দিনের ও তরিকতের কাজ পরিচালনা করছেন। সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় শতশত খানেকা শরীফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি তরিকায়ে জাহাঁগিরিয়ার পবিত্র দাওয়াত দিয়ে মানুষকে আখেরাতের জন্য, দুনিয়ার জন্য উত্তম মানুষ হিসেবে তৈরি করছেন। নীতি নৈতিকতার শিক্ষায় এই দরবারের অন্যতম। কালমা, নামাজ, রোজা, হজ ও যাকাত,ইসলামের এই ফরজ নিয়মগুলো প্রতিনিয়ত মেনে চলার জন্য এদরবারের প্রধান শিক্ষা।কাঞ্চনাবাদ শাহসুফি দরবার শরীফের একটি বড় শিক্ষা হলো ” আদব “। এই দরবার শরীফের মুরিদগন আদব কায়দায় অতি দয়াবান।গুরু জনেরপ্রতি ভক্তি – শ্রদ্ধা ও ছোটদের প্রতি স্নেহ ব্যবহার এই দরবার শরীফের আকিদা ভুক্ত নিয়ম। এর বাহিরে চলার কোন সুযোগ নাই। এই দরবার শরীফে শরীয়তের প্রত্যকটি নিয়ম যথাযত পালিত হয় মর্যাদা সহকারে।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ না পড়া ব্যক্তি এই দরবার শরীফে নেই। কোন অবস্থায় নামাজ থেকে বিরত থাকা চলবে না, পীর ছাহেব কেবলা হযরত মোহাম্মদ আলী ছাহেব এ বিষয়ে সতর্ক বাণী দিয়েছেন, তিনি সবসময়ই কোরআন এবং হাদিস শরীফ এর আলোকে পথ চলার জন্য তাঁর অনুসারীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।পীর ছাহেব হযরত মুহাম্মদ আলী ( মু জি আ.) খুব কম কথা বলেন। ইবাদতে মশগুল থাকেন। তাঁর পিতাও কর্ম জীবনে খুব কম কথা বলতেন। দিনে এবং রাতে ইবাদতে মশগুল থাকতেন। মহান আল্লাহর কাছে ইবাদত নিজেকে সফিয়ে দিয়েছিলেন। পিতা ও দাদা হযরতের ন্যায়ে বর্তমান পীর ছাহেব কেবলা একইভাবে নিজেকে মহান আল্লাহর প্রতি সফিয়ে দিয়েছেন। কাঞ্চননগর শাহ সুফি দরবার শরীফ এটি একটি প্রাচীন সুফিবাদ চর্চা প্রতিষ্ঠান। আমাদের চন্দনাইশ উপজেলা, পটিয়া উপজেলা, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলার প্রত্যেকটি এলাকার মানুষ শাহ সুফি দরবার শরীফ সম্পর্কে অবগত আছেন। মানুষ জানে এই দরবার শরীফের আকিদা এবং দরবারের নিয়ম-নীতিগুলো অতি পবিত্র এবং মর্যাদাকর। শত শত বছর ধরে এই দরবার শরীফের নিয়ম মোতাবেক এলাকা হাজার হাজার মুসলমান নারী জাহাঁগিরিয়া তরিকা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর এই পবিত্র ধর্ম ইসলামকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন।
এই দরবারে
মুরিদগন পৃথক পৃথক নারী পুরুষ দরবারে প্রবেশ করবে। নারীদের জন্য আলাদা ভাবে বসার জায়গা, এবাদত এর জায়গা এবং তরিকতের শিক্ষা গ্রহণের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে। সচরাচর আমাদের দেশে যে সমস্ত দরবার শরীফে ওরশে কিংবা মাহফিল নিয়ে উল্লাস, মেলা -মজলিস, গরু – মহিষ – ছাগল নিয়ে উল্লাস হয় কিন্তু এই দরবারে তানেই। এই বিষয়ে শাহ সুফি দরবার শরীফে কোনদিন কোন ক্রমেই নিয়ম-নীতির বাইরে যায়নি। আজও হযরত আমজাদ আলী রহমাতুল্লাহ আলাইহি, হযরত মমতাজ আলী রহমাতুল্লাহ এর নিয়ম পীর ছাহেব মাওলানা মোহাম্মদ আলী ছাহেব একইভাবে দরবার পরিচালনা করে আসছেন। প্রতি বছরই বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে এখানে মুরিদের সমাগম ঘটে। চার দিনব্যাপী ওরস শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। ওরশ শরীফে মিলাদ মাহফিল তরিকতের শিক্ষা, দোয়া, জিকির ও ইসলাম ধর্মের নীতি নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া হয়। হাজার হাজার মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন, নামাজ পরবর্তী সময়ে একসাথে বসে আহার গ্রহণ করেন। কোন বিদ্বেশ নেই, নেই কোন হিংসা-বিদ্বেষ, নামাজের পর একসাথে বসে আহার গ্রহণের দৃশ্য টা আমার কাছে অপূর্ব লেগেছে। আমার এই জীবনে আল্লাহ আমাকে বহু ওরশ মজলিশে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছেন দেশ এবং বিদেশে কিন্তু আমি এই ধরনের দরবার শরীফের ওরশ শরীফ এবং সুশৃংখল, মাহফিল দেখেনি।এটি অনন্য দৃষ্টান্ত।
” সুফিবাদের প্রধান প্রত্যাশা হলো পরম স্রষ্টার সানিধ্য লাভে ধন্য হওয়া
” এই বিষয়ে আনজুমানে জাহাঁগীরীয়া শাহসুফি মমতাজিয়া ট্রাস্টের আয়োজনে সুফিবাদ বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স ডিআরআই স্বাধীনতা হল মিলনায়তনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাস্টের নিবার্হী পরিচালক পীরজাদা মাওলানা মতিমিয়া মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত বর্ষ থেকে আগত আন্তর্জাতিকখ্যাতিমান সুফিব্যক্তিত্ব হযরত প্রফেসর ড. সাইয়েদ শামীম উদ্দিন আহমেদ মুনায়েমী (মু: জি: আ:)। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইয়েদ আবদুল্লা আল মারুপ।বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ছাহেবজাদা মাওলানা আহসান আলি (মুজিআ.)।এই কনফারেন্সে হযরত প্রফেসর ড. সাইয়েদ শামীম উদ্দিন আহমেদ মুনায়েমী (মু: জি: আ:)।বলেছেন, ” সুফিবাদ শান্তির ঠিকানা। ইসলাম শান্তির পথে। প্রিয় নবী (সা:) এর শিক্ষা ছিলো মানবতা ও মানুষের কল্যানের জন্য নিবেদিত। সুফিগনের চলা এ প্রত্যাশার চূড়ায় উপনীত হওয়ার জন্যই সুফিদের কান্তিহীন অবিরাম পথচলা অত্যাবশ্যক। সে পথটির নামই হলো তরিকত। সে তরিকার অন্যতম হলো মহান জাহাঁগীরিয়া তরিকা। এই তরিকার বর্তমান সময়ের প্রধান পুরুষ হচ্ছেন হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আলী ছাহেব ( মুজিআ.) যিনি পরিচালনা করছেন ঐতিহ্যবাহী শাহ সুফি আমজাদ আলী (রাহঃ), শাহসুফি মমতাজ আলী ( রাহঃ)দরবার শরীফ।
দেশ বিদেশে এই দরবারের মহান মুরশিদগন ২০০ শত বছরের অধিক সময় ধরে এই তরিকা বিকাশের জন্য পবিত্র এই চর্চার মাধ্যমে মানুষকে মুক্তির পথ দেখাচ্ছে। আনজুমানে শাহসুফি জাঁহাগীরিয়া মমতাজিয়া ট্রাস্টের এটি একটি মহত ও পবিত্র আয়োজন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এ দরবারের মাধ্যমে খানাকা গুলোতে শুদ্ধ চর্চায় এই তরিকার দায়িত্ব পালিত হচ্ছে। হানাহানির পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্টায় সুফিবাদের প্রচার প্রসার খুবই জরুরী। তরিকতের সাত মনজিল বা মোকাম রয়েছে। এই সপ্তধাপ অতিক্রম করতে হলে তাদের মুখোমুখি হতে হয় আরও দশটি হাল বা অবস্থার। কঠিন খোদা প্রেম ও রাসুল ( সা:) প্রেম। কোনো একজন সুফি যদি এসবের প্রতিটি মনজিলে অবস্থান করে সাধনার অভিজ্ঞতা অর্জন না করে এবং প্রতিটি হালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজেকে পবিত্র, পরিশুদ্ধ ও পরিপূর্ণ না করে, তাহলে তার পক্ষে তরিকতের উচ্চমার্গে উপনীত হওয়া সম্ভব নয়। পীরে তরিকত জাহাঁগিরিয়া তরিকতের বার্তাবাহক হযরত মোহাম্মদ আলী ( মুজিআ) ছাহেব একজন পরীক্ষিত উত্তীর্ণ জগত বিখ্যাত সুফি ও দার্শনিক ও সৎ পথের আলোর দিশা “। এই কনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্যে পীরজাদা মাওলানা মোহাম্মদ মতি মিয়া মনসুর বলেছেন, ” ভারতীয় উপমহাদেশে সুফিবাদের আগমন, প্রভাব ও প্রসার- এ গতিরই একটি স্বাভাবিক পরিণতি। খ্রিস্ট্রীয় একাদশ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশে সুফিবাদ প্রবেশ করে। অবশ্য বাংলার ‘সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস’ গ্রন্থের তথ্যমতে, আরব বণিকদের ব্যবসা সূত্রে অষ্টম শতাব্দীতেই ভারতীয় অঞ্চলে মুসলমানদের আগমন ঘটে এবং সর্বাগ্রে আসে চট্টগ্রামে। তথাপি একাদশ শতাব্দীকেই বাংলাদেশ এবং ভারতের অন্যান্য প্রদেশে সুফি মতবাদ প্রচারের যথার্থ কাল বলে বিদ্বানদের ইতিহাসে উল্লেখ করেছেন। বাংলায় আগমনকারী সুফি-দরবেশগণ অনেক সময় অলৌকিক কেরামত দেখিয়েও এতদঞ্চলের মানুষদের মুগ্ধ ও অনুগত করেছেন। প্রাচীন ধর্ম ও সংস্কৃতির ধারক ও শাসকরা অনেকেই সহজে এদের আগমন ও ধর্ম প্রচার মেনে নিতে পারেননি। তবে শান্তির কাছে তারা পরাস্ত হয়েছেন। বস্তুত ইসলামের মূলনীতি ও প্রধান আদর্শ একত্ববাদ ও এর অন্তর্নিহিত আধ্যাত্মিক শক্তির জোরেই পৌত্তলিক নরপূজা, প্রতিমা পূজা ও অবতারবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে ও জয়লাভে সমর্থ হয়েছেন। ইসলামের উদার সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক নীতির বলেই এখানে অন্যরা ঠিকতে পারেনি। কারন শুদ্ধপ্রেমে খোদা ও রাসুল ( সা:) কে স্মরনের মাধ্যমে খোদা ডাকে সাড়া দেন। পীর ছাহেব কেবলা হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আলী ছাহেব আমাদের তরিকতের ঐতিহ্যবাহী পতাকা নিয়ে মানুষের ধাঁরে ধাঁরে এই পবিত্র দায়িত্ব পালন করে চলছেন। আমরা তাঁরই আদেশে নির্দেশে আজ ঢাকায় আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনের আয়োজন করেছি। খোদা এক রাসুল (সা:) তাঁর নবী সে কথার বিশ্বাষে মানুষ এগিয়েছে। আমাদের মহান মুরশিদ গন এ দরবারের মাধ্যমে সে শিক্ষা দিয়েছেন। এটি নতুন নয়। আমাদ দাদা হুজুর শাহসুফি আমজাত আলী (র.) ও বাবা হুজুর শাহসুফি মাওলানা মমতাজ আলী (র.) এই পবিত্র শিক্ষা আজ আমরা আমাদের দরবার দিয়ে যাচ্ছি। আলোকিত হচ্ছে মানুষ ও মানবতা। জয় হচ্ছে কালিমার ও ইসলামের। আসুন আমরা সকলে বিশ্ব কল্যানে মানবতার জন্য সুফিবাদ ও তাঁদের আহবানে সাড়া দিয়। শেরে খোদা মাওলা আলী (রাঃ) হযরত রাবেয়া বসরী (রাঃ) মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি, ইবনুল আরাবি, হাফিজ শিরাজি, আবদুল হাই জাঁহাগীরি, মখলুছুর রহমান জাঁহাগীরি, হযরত শাহসুফি আমজাদ আলী জাঁহাগিরি, হযরত শাহ সুফি মমতাজ আলী জাঁহাগীরি, ও আমাদের দরবারের সাজ্জাদানশীন শাহসুফি মাওলানা মোহাম্মদ আলী মমতাজী ( মু: জি:আ:) এর দেখানো পথে চলি। বাংলাদেশে ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম সভ্যতার প্রকৃত মশালবাহী পতাকা হলো জাঁহাগীরিয়া তরিকার পতাকা। ইসলামের মহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মানুষজনের মধ্যে সত্য ধর্ম প্রচার ও মানবতার সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করার জন্যই আমাদের পীর-দরবেশ আরব ও মধ্য এশিয়ার দূর-দূরান্ত থেকে সুদূর বাংলায় আগমন করেন। সুফি ও ওলামায়ে কেরাম বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারে যে ভূমিকা পালন করেন, তা বিস্ময়কর। আরব, ইয়েমেন, ইরাক, ইরান, খোরাসান, মধ্য এশিয়া ও উত্তর ভারত ও বাংলাদেশে চট্টগ্রাম এর জমিন থেকেই সুফিবাদ বিকাশ হয়েছে। আমরা মানুষকে হীতাহীত শিক্ষা গ্রহনের পরামর্শের মাধ্যমে আলোকিত করি। কোরান হাদিসের আলোকে জীবন চলার, শান্তির পথের সন্ধান দিয়ে ভাগ্যবান হই ও অন্যকে ভাগ্যবান করি”।
আসুন আমরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে জাহাঁগিরিয়া তরিকার মহান প্রবর্তক দের অন্যতম পতাকাবাহী হযরত শাহ সুফি আমজাদ আলী (রাহঃ), হযরত শাহ সুফি মমতাজ আলী ছাহেব (রাহ),
শাহ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন হযরত শাহ সুফি সৈয়দ মাওলানা মোঃ আলী ছাহেবের দেখানো পথেই চলে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য চেষ্টা করি। আখেরাত যদি শান্তি পেতে চাই, দুনিয়াতে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকতে হবে। ইবাদত-বন্দেগী হচ্ছে মানবজাতির একমাত্র কল্যাণ। মানবজাতির কল্যানের জন্য আমাদেরকে ইবাদতের বিকল্প নেই। ফরজ ইবাদত গুলো, নফল ইবাদত গুলো, সুন্নতগুলো মেনে চলে এবং কুরআন-হাদীসের আলোকে পীর মুর্শিদের দেখানো পথের মাধ্যমে যদি আমরা চলতে পারি তাহলে আমরা নিশ্চিত সেই খোদার নৈকট্য লাভ করতে পারব। বেহেশতে আমরা বসবাস করতে পারব। না হয় সেই অন্ধকার কবরে যার সাথে কিছুই থাকবে না। আমল যদি না থাকে অন্ধকার কবরে কি অবস্থা হতে পারে? সেটি একবার ভাববার বিষয়। আমরা আমাদের পীর মুর্শিদের দেখানো পথেই চললে অন্ধকার কবর কে আলোকিত করতে পারবো। কোরআন হাদিসের আলোকে জীবনযাপনের মাধ্যমে সুফিদের প্রদর্শিত পথ দেখানো সেই পথ। যদি আমরা চলতে পারি তাহলে আমরা নিশ্চিত শান্তি লাভ করব। পৃথিবীতে মানবতার কল্যাণ করতে পারবো। শান্তি জন্য সুফিবাদ চর্চার বিকল্প নেই। হযরত মাওলানা শাহ সুফি মোহাম্মদ আলী ছাহেব সেই পথের ধারক এবং বাহক। আমরা সকলেই পবিত্র ওরস শরীফে আজকের এই রজনীতে আমরা তাঁর মাধ্যমে মহান আল্লাহর দরবারে আমাদের কল্যাণের জন্য দোয়া কামনা করছি। আমিন। সুম্মা আমীন।

লেখকের দাদী মরহুম” হাজেরা খাতুন” শাহসুফি হযরত আমজাদ আলী জাহাঁগিরি মুরিদ ছিলেন। মহান আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করুক।

লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চা পরিষদ, ঢাকা। প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব, বাংলাদেশ ভারত নেপাল ইতিহাস মঞ্চ। ইতিহাস-ঐতিহ্য মুলক ৫০ টিরও বেশি গ্রন্থের রচয়িতা।



ফেইসবুকে আমরা