বাংলাদেশ, , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

সবজি চাষে আবারো আগ্রহী বেড়েছে গাইবান্ধা জেলায় !

  প্রকাশ : ২০১৯-০৯-২১ ১৮:৫৮:২০  

পরিস্হিতি২৪ডটকম/(গাইবান্ধা প্রতিনিধি) : কৃষি খ্যাত নাম হিসেবে পরিচিত উত্তরবঙ্গের গাইবান্ধা জেলা। এ জেলার কৃষকরা ধান-ভূট্টাসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি নানা ধরনের সবজি চাষ করে থাকেন। সম্প্রতি,গাইবান্ধা জেলায় এই বছরেও উঁচু জমিগুলোতে শীতকালীন সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েছে গাইবান্ধা জেলার কৃষকরা।

কৃষি বিভাগ তথ্য অনুযায়ি জানা যায়, সম্প্রতি শীতকাল মৌসুমে গাইবান্ধা জেলায় প্রচুর পরিমাণ শাক-সবজি উৎপাদন করা হয়। যেমন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, লাউ, সিম, মুলা, বেগুন, লালশাক, পালংশাক, ধনেপাতা ইত্যাদি । এ জেলার কৃষকরা এইসব শাক-সবজি উৎপাদন করে নিজেদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাত করে থাকেন। যা থেকে অনেকটাই লাভবান হয় তারা। ফলে প্রতি বছরের মতো এবারও গাইবান্ধা জেলায় বিভিন্ন শাক-সবজি উৎপাদন চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে পড়েছে কৃষকরা।

শুক্রবার বিকেলে গাইবান্ধা জেলায় বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছরে সবজি চাষে অনেকটাই আগ্রহী প্রকাশ করছেন কৃষকরা।পলাশবাড়ীতে কৃষক নাজির উদ্দিন পরিস্থিতি২৪.কম এর এক প্রতিবেদকে জানান, আমাদের এ জেলায় ধান আবাদের চেয়ে সবজি ফসলই বেশ লাভজনক। এবারে বাঁধাকপি সহ আড়াই বিঘা জমিতে শাক-সবজি আবাদ করেছি। শীতেকালে বাজারে সেগুলো বিক্রি করা যাবে।

গোবিন্দগঞ্জে খলিল ব্যাপারী নামের একজন কৃষক আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ইরি ও আমন ধান মৌসুমে প্রায় দেড়’শ মণ ধান উৎপাদন করি। এতে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবারে পৌনে তিন বিঘা জমিতে নানা ধরনের শীতের সবজি আবাদ করেছি। ভাল ফলন ও সঠিক দাম পেলে হয়তো ঘুরে দাঁড়াতে পারব।

সাঘাটা এলাকার কৃষক মুহাম্মদ আলী বলেন, শীতকাল আমাদের এলাকায় প্রচুর পরিমান শাক সবজি উদপাদিত হয়। অনেক সময় বাজারে চাহিদার চেয়ে আমদানি বেড়ে গেলে কমে যায় সবজির দাম। বেশী সময় ধরে ক্ষেতের ফসল তোলা বন্ধ করা হলে তা জমিতেই নষ্ট হয়ে যায়। এতে অথনৈতিক উন্নয়নে বড় ধরনের সমস্যা। তাই সবজি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে ব্যবস্থা করা হলে এই অপচয় অনেকটা কমে যাবে।



ফেইসবুকে আমরা