বাংলাদেশ, , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

লোকশিল্পী বিনয়বাঁশী জলদাস এর সমাধি ও প্রতিকৃতি ভাস্কর্য পরিদর্শনে ঘাসফুল ওপেন স্কাউট গ্রুপ

  প্রকাশ : ২০২০-১২-১৯ ১৯:৩১:০২  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : আজ (১৯ ডিসেম্বর )একুশে পদক প্রাপ্ত উপমহাদেশের প্রখ্যাত ঢোলবাদক কিংবদন্তি লোকশিল্পী বিনয়বাঁশী জলদাস এর সমাধি ও প্রতিকৃতি ভাস্কর্য পরিদর্শনে ঘাসফুল ওপেন স্কাউট গ্রুপ বোয়ালখালী এর সভাপতি মোহাম্মদ হোসাইন মাহমুদ ও স্কাউট গ্রুপের ছাত্রছাত্রী এবং নেত্রীবৃন্দ এ সময় লোকশিল্পী বিনয়বাঁশী জলদাস এর জীবনী ও ইতিহাস নিয়ে উপস্থিত নেত্রীবৃন্দের মাঝে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন লোক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক শ্রী বিপ্লব জলদাস, এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী বিধান দাস, দোলন জলদাশ, কালিপদ দাস, শিমু দাস প্রমুখ।

উল্লেখ্য কিংবদন্তি ঢোল বাদক এবং একুশে পদক প্রাপ্ত বিনয়বাঁশী জলদাস বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডী ইউনিয়নের ছন্দারিয়া গ্রামে ১৯১১ সালে ১ অক্টোবর জন্মগ্রহন করেন। পিতা : উপেন্দ্র লাল জলদাস।মাতা : সরবালা জলদাস। তিনি শৈশবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রণীত রাম সুন্দর বসাকের বাল্যশিক্ষা পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। ক্রমান্বয়ে তিনি যন্ত্র সংগীতকে আপন পেশা হিসেবে বেছে নেন। এ প্রেক্ষিতে রায়খালীর লক্ষীন্দর ও ত্রিপুরা জলদাসের কাছে তিনি তালিম নিয়ে যন্ত্র সংগীত জগতে পদার্পণ করেন, এরপর উপমহাদেশের বিখ্যাত কবিয়াল, একুশে পদক প্রাপ্ত, কবিয়াল রমেশ শীলের সহশিল্পী হিসেবে তিনি বাংলার পথে-প্রান্তরে বিচরণ করতে থাকেন। তাঁর প্রধান বাদ্যযন্ত্র হল ঢোল। তাছাড়া তিনি – তবলা, ঢাক, খোল, সানাই, বেহালা, দোতারা, করতার, মৃদঙ্গ, ডগর, হারমোনিয়াম, বাঁশের বাঁশী, ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রেও পারদর্শিতা লাভ করেন। তিনি প্রায় পয়ঁত্রিশ বছর কাল কবিয়াল রমেশ শীলের বাদনশিল্পী হিসেবে শ্রদ্ধার সাথে কাজ করে গেছেন। শিল্পীকে কোন ধরনের হতাশা বা প্রলোভনে দেশ ত্যাগের চিন্তায় তাড়িত করতে পারেনি। ১৯৪৭ এর দেশ বিভাগ, দাঙ্গা কিংবা একাত্তরের অগ্নিঝরা যুদ্ধ, এমন কি পশ্চিম বঙ্গের কোন প্রলোভনেও তাঁকে দেশাত্ববোধের মহান ব্রত থেকে উপড়ে ফেলতে পারেনি। তাঁর বাজনায় মুগ্ধ হয়ে উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নটরাজ উদয় শংকর তাঁর নৃত্যদল “মম বাণিতে” যোগ দেওয়ার জন্য বিনয় বাঁশীকে আহ্বান জানান। ২০০২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি মারাত্মক হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এমতাবস্হায় ২০০২সালের ৫এপ্রিল দিবাগত রাত দেড়টায় বিনয় বাঁশী নিজ বাসভবনে পরলোক গমন করেন। তাঁর এসব অবদানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০০১ সালে “একুশে পদক” – এ ভূষিত করেন।তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় ৫০টিরও বেশি সম্মাননা পদক পেয়েছিলেন।



ফেইসবুকে আমরা