বাংলাদেশ, , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন গবেষক অধ্যাপক এম আর মাহবুব স্মরণে : সোহেল মো. ফখরুদ-দীন

  প্রকাশ : ২০২০-০৬-১০ ১৪:১০:১৩  

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন গবেষক অধ্যাপক এম আর মাহবুব স্মরণে : সোহেল মো. ফখরুদ-দীন
পরিস্হিতি২৪ডটকম : প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, লেখক, গবেষক, সংগ্রাহক, ভাষা আন্দোলন গবেষক এবং মাতৃভাষা বাংলা ও ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্র ও জাদুঘরের প্রতিষ্টাতা নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক এম আর মাহবুব (মাহাবুবুর রহমান মাহাবুব) মস্তিষ্কে রক্তরণজনিত কারণে গত ২১ এপ্রিল ২০২০ রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৫০ বছর। তিনি একমাত্র কলেজপড়–য়া কন্যা মাহী ও কলেজশিকিক্ষা স্ত্রী এলমুন্নাহার লিপিসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ভাষা গবেষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক এম আর মাহবুব ৫০ টিরও অধিক মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর গবেষণা ও গ্রন্থগুলো কালজয়ী। এই গ্রন্থের মাধ্যমে অধ্যাপক এম আর মাহবুব বাংলা ভাষা গবেষণা ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন। ভাষা-আন্দোলন নিয়ে তাঁর মতো গবেষণা ইতিপূর্বে আর অন্য কেউ এভাবে করেননি বলে সুধীমহল মন্তব্য করেছেন। এম আর মাহবুবের মৃত্যুতে বাংলা ভাষা আন্দোলন চর্চা ও সংরক্ষণে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে বলে তাঁর মৃত্যুর পরের দুটি জানাজায় সুধীজন মন্তব্য করেছেন। জানাজা উপস্থিত সুধীজন অধ্যাপক এম আর মাহবুবকে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন গবেষণা, সংরক্ষণ ও ভাষা আন্দোলন জাদুঘর প্রতিষ্ঠায় অনন্য নজীর স্থাপনের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় একুশে পদক প্রদানের জন্য দাবি জানান। ভাষা আন্দোলন গবেষক অধ্যাপক এম আর মাহবুবের সাথে আমার যোগাযোগ হয় ১৯৯৬ সালে। চট্টগ্রাম বন্দরে ভাষা আন্দোলন সংশ্লিষ্ট এক গবেষণার কাজে তিনি চট্টগ্রামে আসেন। ভাষা আন্দোলনের স্থপতি অধ্যক্ষ আবুল কাসেমের ছেলে মাহমুদ বিন কাসেমের মাধ্যমে আমার সাথে পরিচয় হয়। সে থেকে অধ্যাপক এম আর মাহবুব ভাষা আন্দোলন গবেষণা ও ইতিহাস গবেষণায় কম হলেও ২০ বারের অধিক আমার আমন্ত্রণে চট্টগ্রামে আসেন। চট্টগ্রামে বিভিন্ন সভা সেমিনার সিম্পুজিয়ামে তিনি অংশগ্রহণ করেন। চট্টগ্রামে ২০০৩ সালে আমি যখন ভ্রাম্যমাণ প্রতœতাত্ত্বিক আলোকচিত্র মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করি, ঐ সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফাইট লে. বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের সহধর্মিণী মিলি রহমান ও ভাষা গবেষক অধ্যাপক এম আর মাহবুব চট্টগ্রামে এসে ঐ মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন। ৮/৯ বছর চালু থাকার পর আর্থিক সংকটের কারণে ঐ মিউজিয়ামের কার্যক্রম সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। হয়তো এটি আমার চরম ব্যর্থতা। তবুও থেমে থাকিনি আমি। অধ্যাপক এম আর মাহবুব ও সোহেল মো. ফখরুদ-দীন এর যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চা পরিষদ নামে একটি জাতীয় সংগঠন গড়ে তুলি। এই সংগঠনের তিনটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতি ড. এম এ মুক্তাদির, সাধারণ সম্পাদক সোহেল মো. ফখরুদ-দীন। অধ্যাপক এম আর মাহবুবের সাথে দীর্ঘ দুই যুগের অধিক সময় ধরে গবেষণা সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত ছিলাম। মাহবুব ভাইয়ের পরিবারের সাথে আমার পরিবারের একটি মধুর সম্পর্ক রয়েছে। মাহবুব ভাইয়ের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত হয়েছি। ঢাকায় অবস্থিত আমার একজন অভিভাবককে হারালাম। তাঁর গবেষণা ও নির্দেশনায় আমি ভাষা আন্দোলন গবেষণা ও ভারতের শিলচরের ভাষা আন্দোলন নিয়ে আমার একটি বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রিয় মাহবুব ভাই বইটি দেখে যেতে পারলেন না। আমি এমন এক হতভাগ্য মানুষ, মাহবুব ভাইয়ের জানাজা কিংবা শেষযাত্রায় শামিল হতে পারিনি। কারণ করোনা মহামারির এই বিশ্বে থেমে থাকা সময়ে মাহবুব ভাইয়ের মহাপ্রয়াণ ঘটে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়া এই দুঃসাহস আমার হয়ে উঠেনি। স্রষ্টা মাহবুব ভাইয়ের মানবকর্মকে নীতিবাচক বিবেচনায় পরজীবনে তিনি শান্তি পান, এই কামনা করি। অধ্যাপক এম আর মাহবুবের জন্ম ১৫ অক্টোবর ১৯৬৯ সনে। পিতা হারিছ উদ্দিন, মাতা মোছা. রাহিমা বেগম। পিতৃভূমি নরসিংদী জেলার মনোহরদি উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের চর আহম্মদপুর গ্রামে। নরসিংদীর এল কে ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় øাতক ও øাতকোত্তর করেন। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের তথ্যসংগ্রাহক, অনুসন্ধিৎসু গবেষক। সাহিত্য-সংস্কৃতির অন্তঃপ্রাণ। কর্মজীবনের শুরুটা শিক্ষকতা ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে। ছাত্রাবস্থায় সাপ্তাহিক ‘পল্লী সমাচার’ ও ‘সৈনিক’ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। ‘নিউরন’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক এবং ‘নিউরোলজি ফাউন্ডেশন’-এর প্রশাসনিক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। ১৯৯৩ সনে ডা. আব্দুল মান্নান মহিলা কলেজে (কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ) ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। উক্ত কলেজে শিক্ষকতা করেছেন অর্ধযুগেরও বেশি সময়। তাঁরই সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় কলেজের প্রথম বার্ষিক প্রকাশনা ‘সুবচন’ এবং দেয়াল পত্রিকা ‘সৃজনী’। মৃত্যুাবধি ভাষা-আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্র ও জাদুঘর-এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে কর্মরত। তিন দশক ধরে ভাষা-আন্দোলনের স্মৃতি সংরণ, স্মারকসংগ্রহ, ইতিহাসচর্চা ও শেকড়সন্ধানী গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৭ সনে ‘ভাষা-আন্দোলন পরিষদ’, ১৯৮৯ সনে ‘ভাষা-আন্দোলন মিউজিয়াম’, ২০০০ সনে ‘ভাষা-আন্দোলন স্মৃতিরক্ষা পরিষদ’, ২০০৬ সনে ‘ভাষা-আন্দোলন গবেষণাকেন্দ্র ও জাদুঘর’ এবং ২০১২ সনে ‘একুশে চেতনা পরিষদ’, ‘বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চা পরিষদ’, ‘ভারত-বাংলাদেশ-নেপাল ইতিহাস মঞ্চ’, ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি (বাসাস)’, ‘বাংলাদেশ গ্রামীণ ফটোসাংবাদিক সোসাইটি’, ‘বাংলাদেশ শিশু উন্নয়ন মানবাধিকার ফোরাম’-এর সাথে সাংগঠনিকভাবে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। ২০১০-১১ সনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন জাতীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির বাংলাদেশের মুক্তিযংদ্ধের এনসাইকোপিডিয়া প্রকল্প, নরসিংদী জেলার সমন্বয়কার। দীর্ঘদিনের একনিষ্ঠ শ্রম ও সাধনায় সংগ্রহ করেছেন ভাষা-আন্দোলনের দুর্লভ দলিল, তথ্যাবলি, অপ্রকাশিত ছবি, স্মৃতিস্মারক ও ভাষাসংগ্রামীদের গৌরবদীপ্ত অবদানের স্মৃতিকথা। ভাষা-আন্দোনের স্মৃতি সংরক্ষণ, ইতিহাসচর্চা, গবেষণা তাঁর পেশা, একমাত্র ধ্যানজ্ঞান ও নেশা। ইতোমধ্যে তাঁর রচনা ও সম্পাদনায় ৫২টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, তন্মধ্যে ভাষাশহিদ, ভাষাসংগ্রামীদের জীবনী এবং ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাসবিষয়ক গবেষণাগ্রন্থ ৫০টি। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ইতিহাস গবেষণা ও সাহিত্যকৃতির স্বীকৃতিস্বরূপ এম আর মাহবুব ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ‘আলো-আভাষ পুরস্কার’, গ্রীন ইউনিভার্সিটি ও উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ‘সম্মাননা স্মারক’, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত গবেষণা পরিষদ কর্তৃক ‘ভাষাপদক’, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ জ্ঞানপীঠ কর্তৃক ‘একুশে সম্মাননা পদক’, নাট্যসভার স্বর্ণপদকসহ আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ভূষিত হয়েছেন নানা পুরস্কার ও সম্মাননায়। এম আর মাহবুব একজন শিশু ও সাংস্কৃতিক সংগঠক ছিলেন। তিনি ‘শিশু নিকেতন’-এর সাধারণ সম্পাদক, ‘বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ’-এর যুগ্ম সম্পাদক এবং সাহিত্য ও পাঠাগার উপ-কমিটির সদস্যসচিব। বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ পরিচালিত মাসিক সাহিত্য আসরের সংগঠক, সঞ্চালক এবং পরিষদের মুখপত্র ‘ঊর্মি’র সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ‘ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্রে’র প্রধান সমন্বয়করী, ‘সাগরদি সাহিত্য পরিষদ’-এর সাধারণ সম্পাদক, ‘স্ববিকাশ গ্রন্থ সুহৃদ সমিতি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতিবিষয়ক মাসিক পত্রিকা ‘ভাষা গৌরব’-এর সম্পাদক এবং মননশীল ও মুক্তচিন্তার সাহিত্য ত্রৈমাসিক ‘সাগরদি’র নির্বাহী সম্পাদক। তা ছাড়াও সক্রিয় রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞে। তাঁর স্ত্রী এলমুন্নাহার লিপি এবং একমাত্র কন্যা সাবিহা মাহবুব মাহী। অধ্যাপক এম আর মাহবুব লিখিত গ্রন্থসমূহ: সংবাদপত্রে ভাষা আন্দোলন: ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬; বাংলা কী করে রাষ্ট্রভাষা হলো; একুশের যত প্রথম (২য় সংস্করণ); যারা অমর ভাষাসংগ্রামে; ভাষাসংগ্রামের স্মৃতি; রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন: ইতিহাস ও অনুষঙ্গ, তিন খণ্ড (আহমদ রফিকের সাথে যৌথ সম্পাদনা); রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলনের দলিলপত্র (অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সাথে যৌথ সম্পাদনা); নরসিংদীতে ভাষা আন্দোলন; আজিমপুরে ভাষা আন্দোলন; বাংলা হোক জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা (২য় সংস্করণ); জানা অজানা ভাষা আন্দোলন; রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন: ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ (ওবায়েদুল্লাহ মামুনের সাথে যৌথ সম্পাদনা); সাহিত্য-সংস্কৃতিতে ভাষা আন্দোলন (স. ম. ইফতেখার মাহমুদ-এর থেকে যৌথ সম্পাদনা); একুশের ডায়েরি (২য় সংস্করণ); রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা; রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ; শহীদ মিনারের ইতিহাস; একুশের স্মারক; একুশের অমর ভাষাশহীদ; কিশোর সংকলন রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন; আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কেমন করে হলো; প্রভাতফেরি; ভাষাসংগ্রাম: কী ঘটেছিল (ভাষা আন্দোলন চিত্রকাহিনি); The Language Movement of East Bengal: 1947 to 1956; রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও আজকের বাংলাদেশ; ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারকগ্রন্থ (ডা. দীপু মনির সাথে যৌথ সম্পাদনা); ভাষাসংগ্রামী মমতাজ বেগম; ভাষাশহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ; আলাউদ্দিন আল আজাদের অগ্রন্থিত রচনাসমগ্র; আলাউদ্দিন আল আজাদের পত্রগুচ্ছ; আলাউদ্দিন আল আজাদের কলম: গণতন্ত্রের অগ্নিপরীা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা; বিচারপতি আমিন আহমেদের জীবন ও কর্ম (বিচারপতি কাজী এবাদুল হকের সাথে যৌথ সম্পাদনা); ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সেবা সংগ্রাম (অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটুর সাথে যৌথ সম্পাদনা, ৩য় সংস্করণ); আহমদ রফিক: সংগ্রামে সৃজনে; সাবির আহমেদ চৌধুরী: সংগ্রাম ও সাধনা (২য় সংস্করণ); ভাষাসৈনিক অধ্যাপক এম. কবির উদ্দিন অহমদ (তসলিমা কবিরের সাথে যৌথ সম্পাদনা); ডা. বদরুল আলম: এক মহান স্থাপত্যের স্থপতি (অধ্যাপক আফজালুন্নেসার সাথে যৌথ সম্পাদনা, ২য় সংস্করণ); কাজী গোলাম মাহবুব ভাষা-আন্দোলন ও অন্যান্য প্রসঙ্গ (৩য় সংস্করণ); ভাষাসৈনিক শামসুল হুদা: জীবনের জলছবি; মির্জা মাজহারুল ইসলাম ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ (৩য় সংস্করণ); প্রিন্সিপাল আবুল কাসেম ও ভাষা আন্দোলন; ভাষা আন্দোলনে মো. ফেরদাউস খানের ভূমিকা; অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান একজন ব্যক্তি একটি প্রতিষ্ঠান; ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ জীবন ও কর্ম; গৌরব’৫২ (সালেক নাসির উদ্দিনের সাথে যৌথ সম্পাদনা); বায়ান্নার বায়ান্ন ভাষাসৈনিক; ভাষাসৈনিক লুৎফর রহমান জীবনের পথে সংগ্রাম ক্ষণে; ভাষাসৈনিক মো. সামছুল হক; মোহাম্মদ সা’দাত আলী সংবর্ধনা গ্রন্থ; আট ভাষাশহীদের কথা। পঞ্চাশ বছরের এই জীবনে অধ্যাপক এম আর মাহবুব রচনা করেছেন ৫০টি মূল্যবান বই। জীবনের হিসাবে এই বইগুলো তাঁকে অমরত্ব এনে দিয়েছে, যদিওবা তিনি পৃথিবীতে বেঁচে নেই। পৃথিবীতে বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা ও মাতৃভাষার ইতিহাস হাজার হাজার বছর ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম অধ্যাপক এম আর মাহবুবের লিখিত গ্রন্থের মাধ্যমে মানুষ আলোকিত হবে। সেই আলোর যাত্রায় আমাদের প্রজন্ম উপকৃত হবে। মাহবুব ভাইয়ের পরকালীন জীবনের আত্মার শান্তি কামনা করছি। পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইতিহাস চর্চা পরিষদ।



ফেইসবুকে আমরা