বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

মাস্টারদা সূর্য সেন ও বিপ্লবী চট্টগ্রাম : সোহেল মো. ফখরুদ-দীন

  প্রকাশ : ২০২০-০১-১১ ১৮:৩৯:৩৭  

মাস্টারদা সূর্য সেন ও বিপ্লবী চট্টগ্রাম
                                        …সোহেল মো. ফখরুদ-দীন

 

পরিস্হিতি২৪ডটকম : “মুক্তির মন্দির সোপান তলে
কত প্রাণ হল বলি দান,লিখা আছে অশ্রুজলে।”
চট্টগ্রামকে বলা হয় বিপ্লবদের তীর্থ ভূমি। এ অঞ্চলে অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত বিপ্লবী জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে চট্টগ্রামের কৃর্তিজন ও পৃথিবীর উদ্ভাসিত মানুষের অন্যতম সূর্য কুমার সেন (মাস্টারদা সূর্যসেন)। সমগ্র পৃথিবীতে বিপ্লবী মানুষের প্রাত:স্মরণীয় মনিষী হিসেবে চিহ্নিত। মাস্টারদা সূর্যসেনের জন্মগত কারণ, স্বাধীনতা ও মানবাধিকার সর্বপরি- তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রাণনাশসহ ঘটনাবহুল ইতিহাসের কারণে চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ ও মাস্টারদা সূর্যসেন, সূর্য উদয় থেকে অস্ত পর্যন্ত এলাকাতে তিনি পরিচিত।


মানুষ যখন অধিকার হারা হয়ে পিঠ দেয়ালে টেকে যায়, তখন সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আর এগিয়ে যাওয়ার সাহস সঞ্চারিত স্বপ্ননীল সাহস আসে মাস্টারদা সূর্যসেনের জীবনদান থেকে।
জয়ের ইতিহাসে পরাজয়ের পথ রুদ্ধ করে আবারও জয় হওয়ার সাহস আজীবন মাস্টারদা সূর্যসেন এ জাতিকে দিয়ে গেছেন। পৃথিবীতে যতদিন না মানুষ ও মানবতা এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বেঁচে থাকবে ততদিন এই চট্টগ্রামের গর্বিত সন্তান মাস্টারদা সূর্যসেন আমাদের প্রেরণা হয়ে বেঁচে থাকবেন। মাস্টারদা সূর্যসেনের জীবন ও কর্মের ইতিহাসে জানা যায় তিনি ১৮৯৪ সালের ২২ মার্চ চট্টগ্রামের নোয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর গর্বিত পিতার নাম রাজমণি সেন। মাস্টারদা সূর্যসেন ১৯১৬ সালে চট্টগ্রাম স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯১৮ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আই এ পাশ করে বি এ ক্লাসে ভর্তি হন। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে চট্টগ্রাম কলেজে তাঁর বি এ পড়া সম্ভব হয়নি। ভারতের বহরমপুর ব্রজনাথ কলেজে বি এ পড়বার সময়ে পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ করে কলকাতার বিপ্লবী কর্মীদের সংস্পর্শে এসে বিপ্লবী ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হন। চট্টগ্রামে বিপ্লবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনে তিনি অন্যতম উদ্যোক্তা ছিরেন। বি এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার কিছুকাল পর তিনি ন্যাশনাল হাইস্কুলে সিনিয়র গ্রাজুয়েট শিক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯২০ সালে কংগ্রেস কর্মী হিসেবে অসহযোগ আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯২১ সালে অসহযোগের আহবানে সমর্থন জানিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় পদত্যাগ করে তরুণদের দেশাত্মবোধ শিক্ষা দেবার জন্য ‘সাম্য আশ্রম’ প্রতিষ্ঠা করেন। অসহযোগ আন্দোলন শেষে তিনি ১৯২৩ সালে চট্টগ্রামের দেওয়ান বাজারে অবস্থিত উমাতারা উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ গ্রহণ করেন। এ সময় থেকে তিনি তাঁর অনুসারীদের নিকট মাস্টারদা নামেই অধিক পরিচিত হয়ে উঠেন। ১৯২৪ থেকে ১৯২৬ সাল পর্যন্ত সময়ে তিনি গোপনে কয়েকবার কলকাতা গিয়ে যুগান্তর দলের কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করেন। চট্টগ্রামে কিভাবে চরমপন্থী কার্যকলাপ আরও শক্তিশালী করা যায় এটাই তাঁর লক্ষ্য হয়ে উঠে। তাঁর কার্যকলাপ তখন পুলিশের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ে। ১৯২৬ সালে ১নং বেঙ্গল অর্ডিনেন্স অনুসারে কলকাতায় তিনি গ্রেফতার হন এবং তাঁকে জেলে আটক রাখা হয়। কিছুদিন পরে তাঁকে রত্নগিরি জেলে স্থানান্তর করা হয়। ১৯২৮ সালে অসুস্থ স্ত্রীকে দেখার জন্য তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয় কিন্তু কিছুদিন পরেই তাঁর স্ত্রীবিয়োগ ঘটে। ১৯২৮ সালের শেষের দিকে তিনি জেলা থেকে মুক্তি পান। মুক্তিলাভের পরেই তিনি কলকাতা ও চন্দনগরের বিপ্লবীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে চট্টগ্রামে বিপ্লবী সংগঠনে আত্মনিয়োগ করেন। ঐ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা কংগ্রেস অধিবেশনে চট্টগ্রাম থেকে যোগদানকারী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব করেন। ১৯২৯ সালে চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ বছরের মে মাসে চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেস সম্মেলনের তিনি প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। মাস্টারদা এবং তাঁর অনুসারীরা চট্টগ্রামে একটা সশস্ত্র অভ্যুত্থানের বিষয় নিয়ে সুভাষ বসুর সাথে একান্তে আলোচনা করেন। ১৯৩০ সালে কংগ্রেসের আহবানে আইন অমান্য আন্দোলন মাস্টারদার দলের পক্ষে সুযোগ সৃষ্টি করে। অনন্ত সিং, গনেশ ঘোষ প্রমুখ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা তরুণদের অস্ত্র চালনা শিক্ষা এবং অস্ত্র সংগ্রহের জন্য তৎপর হয়ে উঠেন। এপ্রিল মাসে গোপনে ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি গঠিত হয় এবং বিপ্লবীরা সশস্ত্র বিদ্রোহের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। পরিকল্পনা মতে ১৮ এপ্রিল বিদ্রোহের ঘোষণা পত্র জারি করা হয়। এই তারিখের রাত্রেই তাঁরই নেতৃত্বে ও নির্দেশে প্রায় একই সঙ্গে বিপ্লবীরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ধূম স্টেশনে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, টেলিফোন ভবন আক্রমণ, পুলিশ অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, অক্সিলিয়ারী অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, ইউরোপিয়ান কাব আক্রমণ প্রভৃতি সংঘটিত করে। এ সকল আক্রমণ পরিচালনার পর বিপ্লবীরা উত্তর দিকে অবস্থিত জালালাবাদ পাহাড়ে আশ্রয় গ্রহণ করে। ২২ এপ্রিল সরকারি সৈন্য জালালাবাদ পাহাড় আক্রমণ করলে বিপ্লবীদের সাথে ইংরেজদের সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। জালালাবাদ সংঘর্ষের পর মাস্টারদার নির্দেশে বিপ্লবীরা নূতন রণকৌশল গ্রহণ করেন। নূতন রণকৌশনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো গ্রামাঞ্চলে বিপ্লবী কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দেওয়া, অধিক সংখ্যায় তরুণদের ভর্তি করা এবং ইউরোপীয় ও পুলিশদের উপর অতর্কিত আক্রমণ পরিচালনা করা। ১৯৩২ সালে পটিয়ার ধলঘাট গ্রামে পুলিশের সাথে সূর্যসেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীদের সংঘর্ষ হয়। ক্যাপ্টেন ক্যামেরন এর নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ১৯৩২ সালে ১৩ জুন বিপ্লবীদের আশ্রয়স্থল ঘিরে ফেলে। সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ক্যামেরন মারা যান এবং সূর্যসেন, প্রীতিলতা ওয়ার্দ্দেদার ও কল্পনা দত্ত নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে সম হন। শেষ পর্যন্ত এক গ্রামবাসী চট্টগ্রামের গৈরলা গ্রামে সূর্যসেনের লুকিয়ে থাকার তথ্য পুলিশকে জানিয়ে দেন এবং ওখান থেকে সূর্য সেনকে পুলিশ গ্রেফতার করেন। চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহের ইতিহাস সম্পর্কে জ্যোতিবসু সম্পাদিত ভারতবর্ষ থেকে প্রকাশিত বিপ্লবীদের ভারতবর্ষ ও স্বাধীনতা গ্রন্থে প্রকাশ হয়, “১৮ই এপ্রিল ১৯৩০ রাত দশটা। চট্টগ্রামের তরুণ একদল বিদ্রোহী বহুদিন ধরে নিখুঁত পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি পর অতর্কিত আক্রমণে শহরের দুটি অস্ত্রাগার দখল করে এবং চট্টগ্রামের সঙ্গে বহির্জগতের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন করে। আর ‘ইন্ডিয়ান রিপাবলিক আর্মি’র চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি সূর্য সেনের নির্দেশে চট্টগ্রামের যুবক ও ছাত্রদের প্রতি যে আবেদন ইস্তাহার আকারে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তাকে ‘স্বাধীন চট্টগ্রাম’ ঘোষণা করে তাঁদের সৈন্য হিসাবে ভারতীয় গণতন্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়। আর একটি ইস্তাহারে চট্টগ্রামের জনসাধারণকে অনুরোধ করা হয় আপনার সন্তানদের আত্মাহুতির প্রেরণা জাগিয়ে নিজ যোগ্যতা প্রমাণের। তারপর মাস্টারদাকে সর্বাধিনায়ক করে সংগ্রাম চালানোর এক সংকল্পবাণী পাঠ করা হয়। সে সংগ্রাম সে দিন থেকে প্রায় চার বছর চলতে থাকে প্রচণ্ড সরকারি দমন পীড়ন সত্ত্বেও। ২২শে এপ্রিল, ১৯৩০ বিদ্রোহীদের আশ্রয়স্থল জালালাবাদ পাহাড়টিকে ইংরেজের সেনাবাহিনী ঘিরে ফেলে তুমুল যুদ্ধ চালায়। ঐ যুদ্ধে নিহত হন মোট ১২ জন: প্রভাস বল, শশাঙ্ক দত্ত, নির্মল লাল, জীতেন দাশগুপ্ত, মধু দত্ত, পুলিন ঘোষ, হরিগোপাল বল, মতি কানুনগো, নরেশ রায়, ত্রিপুরা সেন, বিধু ভট্টাচার্য ও গুরুতর আহত অর্ধেন্দু দস্তিদার পরের দিন (২৩শে এপ্রিল) মারা যান হাসপাতালে। আত্মসমর্পণের পরিবর্তে অমরেন্দ্র নন্দী আত্মহননের পথই বেছে নেন (২৪শে এপ্রিল)। কালারপোল যুদ্ধের পর শহীদÑস্বদেশ রায়, রজত সেন, মনোরঞ্জন সেন, দেবপ্রসান গুপ্ত (৬ই মে, ১৯৩০)। চন্দননগরে পুলিসের গুলিতে জীবন (মাখন) ঘোষাল (২১শে সেপ্টেম্বর, ১৯৩০) নিহত হন। পুলিশ ইন্সপেক্টর তারিণী মুখার্জিকে হত্যার অপরাধে রামকৃষ্ণ বিশ্বাস ফাঁসিকাঠে প্রাণ দেন (৪ঠা আগস্ট, ১৯৩১)। ১৯৩১ সালের মে-জুন মাসে ডিনামাইট দিয়ে জেলের পাঁচিল ভেঙে বন্দীদের মুক্ত করার চেষ্টা শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হয়। ১৯৩১ সালের ৩০শে আগস্ট ফুটবল মাঠে কুখ্যাত গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর আসাতুল্লা বালক হরিপদ ভট্টাচার্যের গুলিতে নিহত হয়। সা্েযর অভাবে তার ফাঁসির বদলে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর হয়। ধলঘাট সংঘাতে (১৩ই জুন, ১৯৩২) নিহত হন যুববিদ্রোহের অন্যতম নায়ক নির্মল সেন, অপূর্ব (ভোলা) সেন। ১৯৩২ সালের ২৯শে জুলাই তরুণ বিপ্লবী শৈলেশ রায় কুমিল্লার পুলিশ কর্তা এলিসনকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিতে হত্যা করেন। ১৯৩২ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর ইউরোপীয়ান ক্লাব আক্রমণ অভিযানে ৭ তরুণ বিপ্লবী দলের অধিনায়িকা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার সার্থক সংঘাতের পর পুলিশের হাতে ধরা পড়ার বদলে আত্মহননের পথ বেছে নেন। ১৯৩৩ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি পটিয়ার গৈরলা গ্রামে গূর্খাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর সূর্য সেন বন্দী হন। ১৯৩৩ সালের ১৯শে মে রাউজানের গহিরা গ্রামে ফৌজি বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে দুই বিপ্লবীর মৃত্যু হয় এবং বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার ও কল্পনা দত্ত বন্দী হন। ১৯৩৪ সালের ৭ই জানুয়ারি ৪ জন নির্ভীক তরুণ প্রকাশ্য দিবালোকে শহরের মাঠে ইংরেজ অফিসারদের বোমা ও পিস্তল নিয়ে আক্রমণ করেন। রীদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই হিমাংশু চক্রবর্তী মারা যান এবং কৃষ্ণ চৌধুরী ও হরেন ভট্টাচার্য ধরা পড়ে ফাঁসিকাঠে প্রাণ দেন। ১৯৩৪ সালের ১২ই জানুয়ারি মাস্টারদা সূর্য সেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারকে বৃটিশ শাসকেরা ফাঁসির মঞ্চে হত্যা করে।” ১৯৩৩ সালের আগস্ট মাসে সূর্যসেনের ফাঁসির রায় হয়। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদিঘীর পাড়স্থ কেন্দ্রীয় কারাগারে এই বিপ্লবীকে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। একই দিনে একই মঞ্চে বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদারকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। দুজনের নিথর দেহটিকে ব্রিটিশ জান্তারা গভীর সমুদ্রে পাথর বেঁধে ফেলে দেয় বলে ইতিহাস থেকে জানা যায়। যেখানে মাস্টারদা সূর্যসেনকে ফাঁসি দেয়া হয়, সে মঞ্চটি বর্তমানে সংরতি রয়েছে। চট্টগ্রামের ইতিহাস সচেতন মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন লালদিঘীর মাঠ সংলগ্ন চত্বরটিকে সূর্যসেন এভিনিউ নামকরণ ও প্রস্তাবণা পাশ করলেও এখনও পর্যন্ত ঐ সৌধটি গড়ে উঠেনি। মাস্টারদা সূর্যসেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারের ফাঁসির ৮৬ বছর অতিবাহিত হলেও এদেশ এবং ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাসে তাঁরা কালজয়ী পুরুষ হিসেবে বিবেচিত। ৮৬তম ফাঁসি দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারকে।

লেখক : সোহেল মো. ফখরুদ-দীন, সভাপতি, চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র।



ফেইসবুকে আমরা