বাংলাদেশ, , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বাপউস’র পরিবেশ বিষয়ক ৪র্থ জাতীয় সম্মেলনে ড. শিরিন আখতার : পরিবেশ বিপর্যয়ের মহাবিপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য সামাজিকভাবে সচেতন হতে হবে

  প্রকাশ : ২০১৯-০৪-২০ ১৩:৩৪:১২  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : বাপউস’র পরিবেশবিষয়ক ৪র্থ জাতীয় সম্মেলনে ড. শিরিন আখতার বলেন, নির্বিচারে প্রকৃতি ধ্বংস এবং কান্ড জ্ঞানহীন পরিবেশ দূষণের মধ্য দিয়ে মানুষ তাদের সুন্দর এ পৃথিবীতে ডেকে এনেছে এক মহাবিপর্যয়। তাই পৃথিবী আর কত দিন বেঁচে থাকবে, তার বুকে সঞ্চারনমান প্রাণ বা আর কতদিন টিকে থাকবে তা শুধু পদার্থবিদ্যার সূত্রের উপরই নির্ভর করছে না, তা আজ নির্ভর করছে মানুষের উপরও। মানুষ পরিবেশের অংশ এবং প্রত্য সুফল ভোগকারী। পরিবেশ বিপর্যস্ত হলে মানুষই তিগ্রস্থ হয়, মানুষের ব্যবহার্য প্রাকৃতিক সম্পদ বিনষ্ট হয়, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যাহত হয়। তাই সুস্থ শরীর ও মন বিনির্মাণে বিপর্যয়মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি প্রয়োজন। বাপউস’র চেয়ারম্যান বলেন, দেশের সকল নদ-নদী দূষণ ও দখলমুক্ত করতে হবে। আজ পরিবেশ দূষণ মানব সভ্যতার জন্য ভয়ংকর বিপদের পূর্বাভাস। এই সকল মহাবিপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য কেবলমাত্র সামাজিকভাবে সচেতন হলে এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে আগামী দিনের ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটি সুন্দর-সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবো। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলার লক্ষ্য যেকোনো মূল্যে পরিবেশ দূষণ রোধ করার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। গতকাল ১৯ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট-এ বাংলাদেশ পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটি (বাপউস)’র আয়োজনে ‘আগামীর দূষণমুক্ত সবুজ দেশ ও প্রজন্মকে বাঁচিয়ে রাখার প্রত্যয়ে’ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে পরিবেশবিষয়ক ৪র্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. শিরিন আখতার। বাপউস’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এ কে এম আবু ইউসুফের সভাপতিত্বে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব সোলায়মান আলম শেঠ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লায়ন অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাট্যজন সজল চৌধুরী ও স্বাগত ভাষণ দেন সম্মেলন উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। সংগঠক ও সাংবাদিক স ম জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চসিক স্বাস্থ্য ও শিা কর্মকর্তা আবদুর রহিম, মুক্তিযোদ্ধা কবি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ইতিহাসবিদ সোহেল মো. ফখরুদ-দীন, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রাবন্ধিক এম এ সাত্তার, ইঞ্জিনিয়ার মো. হোসেন মুরাদ, আলহাজ্ব সাখাওয়াত হোসেন, মির্জা ইমতিয়াজ শাওন, শুভাশিষ আচার্য টিটো। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ ইউনুস কুতুবী, অধ্যক্ষ মোক্তাদের আজাদ খান, লায়ন এইচ এম ওসমান সরওয়ার, নূর মোহাম্মদ রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম, ডা. আর কে রুবেল, ডা. সুভাষ চন্দ্র সেন, মনছুরুল হাসান জিয়া, কবি আরিফ চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, লায়ন ডা. বরুণ কুমার আচার্য বলাই,লায়ন আবু ছালেহ, প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম, সজল দাশ, অনুতোষ দত্ত বাবু, ইঞ্জিনিয়ার মো. ফেরদৌস ওয়াহিদ, সৈয়দ শিবলী ছাদেক কফিল, প্রধান শিক্ষক মিন্টু কুমার দাশ, ডা. মুবিন সিকদার, সাইফি আনোয়ার, আবদুর রাজ্জাক, অমর দত্ত, ডা. রাজীব চক্রবর্তী,কে এম,ইউছুপ,আরশাদ আলী প্রমুখ। সম্মেলন ২১ সদস্যবিশিষ্ট মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয় এবং সমীরণ পাল সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মেলনের পরিসমাপ্তি টানা হয়।



ফেইসবুকে আমরা