বাংলাদেশ, , বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

দেশের সব বিমানবন্দরের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী

  প্রকাশ : ২০২০-০২-১৭ ১৮:০০:৩৯  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ভবনের দোতলায় আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গণশুনানি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেছেন, দেশের সব বিমানবন্দরের উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শাহ আমানত বিমানবন্দর সম্প্রসারণে কাজ করছি আমরা। এ বছর আরও ২টি বোর্ডিং ব্রিজের কাজ শুরু করবো।
করোনা ভাইরাসের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে চেয়ারম্যান বলেন, সিভিল অ্যাভিয়েশনের নিজস্ব ডাক্তার নেই। নতুন অর্গানোগ্রামে চিকিৎসক পদ সৃষ্টির উদ্যোগ নিচ্ছি। থার্মাল স্ক্যানার মেশিনটি সচল কিংবা নতুন বসানোর জন্য সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে জানানো হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম দেশের ইকোনমিক হাব, অর্থনীতির চালিকাশক্তি। এখানে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর, ইপিজেডসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আছে। বাণিজ্যিক রাজধানী ও গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এটি। ধাপে ধাপে এ বিমানবন্দরের চাহিদা বাড়ছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। এমিরেটস, ইত্তেহাদ, কাতার এয়ারওয়েজ যোগাযোগ করছে।

যাত্রী কামাল উদ্দিন বলেন, মাত্র ১০ মিনিটে ইমিগ্রেশন হয়ে গেছে। আগামীতে ডিজিটাল সেবা বাড়াতে হবে।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম রব্বানি রিগ্যান বলেন, ঢাকায় রানওয়েতে শাটল বাস আছে, চট্টগ্রামে নেই। আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য মানি এক্সচেঞ্জ বুথ, ব্যাংকের বুথ ও রিফ্রেশমেন্ট কর্নার বাড়াতে হবে।

এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান সোনালী ব্যাংকের একটি বুথ দেওয়া হবে বলে জানান। তিনি বলেন, শাহজালালে দোকানপাট বেশি হয়েছে। কিছু কমানো হবে। বেশি হলে সৌন্দর্য কমে যায়। সেবা বিঘ্নিত হয়। চট্টগ্রামের ব্যাপারে সজাগ আছি। মুজিব বর্ষে আরও বেশি সেবা দিতে চাই আমরা।

জহিরুল আলম মজুমদার বলেন, ৯০ ভাগ যাত্রী প্রবাসী। এখানে ছোট্ট একটি ডেস্ক আছে। আগত বা প্রত্যাগত যাত্রীদের জন্য একটি ডেস্ক খোলার অনুমতি চাই।

চেয়ারম্যান বলেন, অনেক প্রবাসী শ্রমিক বিমানবন্দরের নিয়ম কানুন জানেন না। অনেক জার্নি করে। ভোগান্তিতে পড়েন। সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দিলে নতুন ডেস্ক দেওয়া যাবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এখানে যেটুকু জায়গা আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে।

স্টেশন ম্যানেজার বলেন, ১০ বছর এখানে কাজ করছি। আগে দর্শনার্থী এয়ার ক্রাফটের কাছে পৌঁছে যেতো। যা এখন অসম্ভব ব্যাপার। চেকিং কাউন্টারের স্বল্পতা আছে। একসঙ্গে অনেক ফ্লাইট এলে এক-দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। এক এয়ারলাইন্সের ব্যাগেজ অন্য এয়ারলাইন্সে চলে যায়।

চেয়ারম্যান বলেন, কাস্টম অ্যারাইভালে জায়গার স্বল্পতা আছে। অতিরিক্ত জায়গা থাকলে কাউন্টার বাড়ানো হবে। বেল্ট বাড়ানোর জায়গা নেই। চট্টগ্রামে লাগেজ মিসিংয়ের কমপ্লেন নেই। এখানে সুন্দরভাবে লাগেজ তোলা-নামা হচ্ছে। এয়ারপোর্ট ম্যানেজার যে সফলতা এনেছে তা ধরে রাখতে পারবো।

বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার ই জামান বলেন, ২০১৯ সালে শাহ আমানত বিমানবন্দর দিয়ে ১৭ লাখ ৭৮ হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করেছেন। দিনে গড়ে ৪০টি প্লেন ওঠানামা করছে। ১ দশমিক ৮ গুণ ফ্লাইট বেড়েছে। তিনটি লাউঞ্জ, সুপেয় পানি, তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। নিরাপদে ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণ এবং যাত্রীসেবার মান বাড়াতে আমরা কাজ করছি।



ফেইসবুকে আমরা