বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চন্দনাইশের ইতিহাস গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : গ্রাম ও আঞ্চলিক পর্যায়ের ইতিহাস জাতীয় ইতিহাস সমৃদ্ধির সোপান

  প্রকাশ : ২০২০-০১-০৬ ১৭:২৫:১৮  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : চন্দনাইশের ইতিহাস গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, ইতিহাসের পথ ধরে মানুষের পথ চলা। তাই গ্রামীণ ও আঞ্চলিক পর্যায়ের ইতিহাস জাতীয় ইতিহাস সমৃদ্ধির সোপান হবে। জাতীয় ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করতে হলে আঞ্চলিক পর্যায়ের ইতিহাস রচনার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।এক্ষেত্রে দেশের গ্রামীণ পর্যায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লেখক গবেষক ইতিহাসবিদদের এগিয়ে আসতে হবে এবং এতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা অত্যাবশ্যক। কেননা ইতিহাস রচনা দুরূহ বিষয়। আর এক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে যথাযথ ইতিহাস তুলে ধরা ও এর সমৃদ্ধি অসম্ভব। বক্তারা আরো বলেন, চন্দনাইশের ইতিহাস রচনার মধ্য দিয়ে ইতিহাসবিদ সোহেল মো. ফখরুদ-দীন দেশপ্রেমের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি নিজ জন্মভূমি চন্দনাইশের পবিত্র ইতিহাস লিখে বই আকারে প্রকাশ করেছেন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা পূরণ করেছেন ও আগামী প্রজন্মকে ইতিহাস চর্চায় আগ্রহী করে তুলেছেন। এই গ্রন্থের লেখক বারো হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাস থেকে গবেষণা করে প্রাচীন চন্দনাইশকে নবরূপে রূপদান করেছেন। তিনি তাঁর রচিত গ্রন্থে বলেছেন, চন্দনাইশ ছিল প্রাচীন সুহ্ম রাজ্যের আঞ্চলিক রাজধানী। অতি প্রাচীনকালে বর্তমান দোহাজারী এলাকা সুহ্ম রাজ্যের প্রধান ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র ছিল। মহাভারত যুগে এই অঞ্চল বলির পুত্র সুহ্মর বিখ্যাত রাজ্য ‘সুহ্ম দেশে’র অন্তর্ভুক্ত ছিল। উল্লেখ্য, সুহ্ম রাজ্যের আঞ্চলিক রাজধানী ছিল চন্দনাইশের কাঞ্চননগর বা দোহাজারী। আজ থেকে বারো হাজার বছর আগে চন্দনাইশে নব্যপ্রস্তর সভ্যতা গড়ে উঠেছে। ৪১৬ পৃষ্ঠার চন্দনাইশের ইতিহাস বইটি এই জনপদের ইতিহাস নিয়ে সামনে হাজার হাজার বছর বেঁচে থাকবে এবং এই জনপদের ইতিহাসকে আলোর পথ দেখাবে। ৪ জানুয়ারি দুপুরে নগরীর চেরাগী পাহাড় সুপ্রভাত স্টুডিও হলে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক এ কে এম আবু ইউসুফের সভাপতিত্বে চন্দনাইশের ইতিহাস গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা মফিজুর রহমান। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থেকে গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন চন্দনাইশের কৃতিসন্তান, জেলা আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিনবোধী ভিক্ষু, প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও ব্যাংকার প্রফেসর আবদুল আলীম, বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবু তালেব বেলাল, প্রবীণ ব্যাংকার এইচ এম রফিকুল হক টিপু, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, ইতিহাস গবেষক এডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী, ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ রতন কান্তি দাশ, ইতিহাস গবেষক মোঃ সাইফুদ্দিন, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হুদা, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অমর কান্তি দত্ত, কবি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, ছড়াকার সাফাত বিন সানাউল্লাহ, মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোহাম্মদ রিয়াদ প্রমুখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি



ফেইসবুকে আমরা