বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো ফ্রি ওয়াইফাই জোনের আওতায় আসছে : আ জ ম নাছির

  প্রকাশ : ২০২০-০২-০২ ১৯:৫৯:৪২  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আগ্রাবাদের সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটের ফুডকোর্ট, সিনেপ্লেক্স ও কিডস জোনের উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন,দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর চট্টগ্রামের সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ফ্রি ওয়াইফাই জোনের আওতায় আনা হবে এবং ৫৪ আসনের সিনেপ্লেক্সে ৮ ফুট বাই ১২ ফুটের ডিজিটাল স্ক্রিনে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।

মেয়র বলেন, মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসম্পন্ন ফুড সাপ্লাই করতে হবে। সুুনাম বাড়লে ব্যবসা বাড়বে। নিম্নমানের খাবার, ভালো ব্যবহার না করলে, বেশি মুনাফা করলে খারাপ বার্তা যাবে।

তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট চসিক পরিচালনা করে। এটিকে রমজানের আগে সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৫টি ফ্লোর নতুনভাবে নির্মিত হচ্ছে। আইটি পার্ক হচ্ছে। দেশ বিদেশের অতিথি আসবেন। বিশ্বব্যাপী এ মার্কেটের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। নতুন এস্কেলেটর বসানো হবে পঞ্চম তলা পর্যন্ত। সামনে দুইটি ক্যাপসুল লিফট বসবে। চারটি প্যাসেঞ্জার লিফট স্থাপিত হবে। এবাদতখানা নারী পুরুষের জন্য আলাদা হবে। লোড হিসাব করে নতুন জেনারেটর দেওয়া হবে। কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা হবে। এ মার্কেটে ৩০৬টি দোকান আছে। ফুডকোর্টের বাইরে খাবার দোকান করা যাবে না। প্রয়োজনে ব্যবসা পরিবর্তন করতে হতে পারে। আমরা কোয়ালিটি কাজ চাই।

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, সঞ্চালন লাইনগুলো প্রতিস্থাপন হলে দেশে বিদঢুৎ বিভ্রাট হবে। কালেভদ্রে যাবে বিদ্যুৎ। তখন জেনারেটরগুলো কাজে আসবে না।

২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এইচএম সোহেল বলেন, চসিকের এ মার্কেট শীততাপ নিয়ন্ত্রিত করার দাবি ছিলো দীর্ঘদিনের। সাড়ে ৪ বছরে এ ওয়ার্ডে ২৩৫ কোটি টাকার উন্নয়নকাজ হয়েছে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে।

সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি শফিউল আলম বলেন, ২টি ক্যাপসুল লিফটসহ আরও লিফট বাড়াতে হবে।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন বলেন, নগরপিতা হিসেবে সার্বক্ষণিক এ মার্কেটের উন্নয়নে কাজ করেছেন। এ মার্কেটে ১ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়ার মতো এবাদতখানা চাই। আন্ডারগ্রাউন্ডের জেনারেটরটি চসিকের জায়গায় সরিয়ে নিলে গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারবেন।

ত্রিমাত্রিক আর্কিটেক্টের সিইও মোশাররফ আলী বলেন, এ মার্কেটে হাইটেক পার্কের কাজ চলছে। তাই ব্যবসায়ীদের সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পুরো মার্কেট শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন। আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের বিউটিফিকেশনের নকশা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, গ্রিন ও ক্লিন সিটি করতে মেয়র কাজ করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এ মার্কেটে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ, ফুডকোর্ট, কিডস জোন, হাইটেক পার্ক হচ্ছে। পার্কিংয়ের আওতা বাড়াতে হবে। শক্তিশালী জেনারেটর চাই মার্কেটে। চট্টগ্রামে অনেক মেয়র দেখেছি, কিন্তু আ জ ম নাছির ডাইনামিক।

উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক লীগ নেতা শফর আলী, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সােহেল আহমদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা এখলাছুর রহমান, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী নেওয়াজ, প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি শফিউল আলম, যুবনেতা সুমন দেবনাথ, পোর্ট সিটি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রশীদ লোকমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মেয়র পঞ্চম তলার ফুডকোর্টের ৪৩টি দোকান বরাদ্দগ্রহীতাদের কাছে হস্তান্তর করেন। ১৭টি বরাদ্দের বাকি আছে।



ফেইসবুকে আমরা