বাংলাদেশ, , শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে থাইল্যান্ডে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, নিহত ১

  প্রকাশ : ২০১৯-০১-০৫ ১৯:৪৯:৩৯  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে শক্তিশালী গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় পাবুক আঘাত হানায় শনিবার দেশটিতে বন্যা ও বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এর ফলে অঞ্চলটির অন্ধকারে ঢেকে গেছে। ঝড়ে একজন নিহত হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
শুক্রবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ঘন্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে পাবুক আঘাত হানে। ঝড়টির প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত ও শাক্তিশালী বাতাস বয়ে যায়। ঝড়ের আঘাতে অঞ্চলটির বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যায় এবং ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়।

শুক্রবার ভোরে দক্ষিণাঞ্চলীয় পাত্তানী প্রদেশে এক জেলে নিহত ও অপর একজন ক্রু নিখোঁজ হয়েছে। ঝড়ের সময় সমুদ্র উত্তাল হয়ে ওঠায় উঁচু ঢেউয়ের আঘাতে তাদের নৌকা ডুবে যায়।

ঝড়টি প্রধান পর্যটনদ্বীপ কোহ সামুই, কোহ ফাঙ্গান ও কোহ তাও এর দিকে থেকে গতিপথ পরিবর্তন করে দূরে চলে গেছে। সেখানে ঝড়ের প্রভাবে গত ২৪ ঘন্টায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফেরি চলাচল বাতিল ও বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এখানে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আটকা পড়েছে।

কোহ সামুই জেলার প্রধান কর্মকর্তা কিত্তিপপ রোদ্দোন বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাতে কেউ হতাহত হয়নি। আজ কিছুটা রোদের দেখা মিলেছে। আজ ফেরী ও ফ্লাইট চলাচল পুনরায় শুরু হলে আটকা পড়া পর্যটকরা ফিরে যেতে পারবেন বলে আমি মনে করি।’

পার্শ্ববর্তী কোহ ফাঙ্গানের জেলা প্রধান ক্রিক্কারাই সংথানি বলেন, ‘ঝড়টি থেমে গেছে। ১০ হাজার পর্যটকের সকলেই নিরাপদ আছেন। আমি স্বস্তি বোধ করছি।’

তিনি আরো জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে খুব একটা ক্ষতি হয়নি। শক্তিশালী বাতাসে শুধু সামান্য ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু অবকাশ যাপনকারীরা দ্বীপটিতে আটকা পড়েন। শনিবার অল্পকিছু যান চলাচল শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, শনিবার ভোরে ঝড়টির শক্তি হ্রাস পেয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি এখন আন্দামান সাগর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
পাবুক শুক্রবার বিকেলে থাইল্যান্ড উপসাগরের দক্ষিণাঞ্চলীয় পর্যটনকেন্দ্র নাখোন সি থাম্মারাত প্রদেশে আঘাত হেনেছে।

কর্তৃপক্ষ আকস্মিক বন্যার ব্যাপারে সতর্ক করেছে। ঝড়বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকটি এলাকা বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

ঝড়ে গাছপালা বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রায় ২ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে।

দুর্যোগ প্রশমন ও প্রতিরোধ বিভাগ জানায়, শনিবার সকালে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ ছিল না। একই সংখ্যক লোক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। তারা বন্যার পানি নেমে যাবার অপেক্ষায় আছে।



ফেইসবুকে আমরা