বাংলাদেশ, , মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার সর্বশেষ তথ্য চাইলেন হাইকোর্ট

  প্রকাশ : ২০২০-১২-০২ ১৮:১৯:০০  

পরিস্হিতি২৪ডটকম : সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তদন্তের সর্বশেষ লিখিত অগ্রগতির তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। মামলা সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মামলার অন্যতম কারাবন্দি আসামি মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিমের জামিন শুনানিতে বুধবার (২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এই আদেশ দেন।

এদিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শংকর প্রসাদ দে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

মো.সারওয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ওয়াসিমের জামিন শুনানিকালে গত ২৩ নভেম্বর মামলার সিডিসহ তদন্ত কর্মকর্তাকে বুধবার হাজির হতে বলেছেন। সে অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা হাজির হয়ে জানান, তিনি কিছুদিন আগে তদন্তভার পেয়েছেন।

এরপর আদালত ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তদন্তের লিখিত অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছেন। আর জামিন আবেদন ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছেন।

আইনজীবী শংকর প্রসাদ দে বলেন, তার মক্কেল (ওয়াসিম) সাড়ে চার বছর ধরে জেলে আছে। আসামি মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর এলাকার আবদুন নবীর ছেলে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু । এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আবু নসুর গুন্নু, শাহ জামান ওরফে রবিন, সাইদুল আলম শিকদার ওরফে সাক্কু ও শাহজাহান, মো. আনোয়ার ও মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম নামে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।

এই হত্যায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আটক হন এহেতাশামুল হক ভোলা ও তার সহযোগী মো. মনির। তাদের কাছ থেকে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয় যা মিতু হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছিল তখন।

গ্রেফতার আনোয়ার ও মোতালেব মিতু হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের স্বীকারোক্তিতে মিতু হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম আসে বাবুল আক্তারের সোর্স হিসেবে পরিচিত মো. মূছার।

মিতুর বাবা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মোশারফ হোসেন মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারকে দায়ী করেন। তিনি তদন্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগের সাপেক্ষে বেশ কিছু তথ্য দেন বলে জানান মোশারফ হোসেন।

২০১৭ সালের ২৪ জুন রাতে ঢাকার বনশ্রীর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

চাঞ্চল্যকর এই মামলার কোনো কূল কিনারাও করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত মামলাটির তদন্তভার ‘আদালতের নির্দেশে’ গত জানুয়ারিতে চলে যায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই)।



ফেইসবুকে আমরা